সন্ধ্যা হলেই ঘুড়ি নিয়ে মেতে উঠে তারা! : মন কাড়ছে করোনায় ঘরবন্দি মানুষের!

লালমনিরহাট প্রতিনিধি: সারা বিশ্ব যখন অদৃশ্য করোনাভাইরাসের আতঙ্কে নাজুক তখন অন্যরকম এক বিনোদনে মেতেছেন লালমনিরহাটের তরুণরা। প্রতি রাতে আকশে উড়ায় ঘুড়ি, আর এই দৃশ্য দেখে “রবি ঠাকুরের” গানটি হয়তো এমন করে বলা যায় “যেতে যেতে পথে পূর্নিমায় রাতে চিল ঘুড়ি উড়েছিলো গগনে! জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার দলগ্রাম ইউনিয়নের জাম বাড়ি এলাকায় প্রতি রাতেই ঘুড়ি ওড়ানোর এ দৃশ্য দেখা যায়।
সন্ধ্যা হলেই ঘুড়ি নিয়ে মেতে ওঠেন তরুণরা। প্রতি রাতেই আকশে ঘুড়ি ওড়াতে মত্ত থাকেন তারা।
ঘুড়ি ওড়াতে আসা রংপুর সরকারী কলেজের ছাত্র হাফিজুল ইসলাম ও জামিয়ার ইসলাম বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, সংকটময় এ সময়ে দীর্ঘদিন ঘরে বসে থাকায় সামান্য বিনোদনের ব্যবস্থা করেছি। মোবাইল ফোনের পরিত্যাক্ত ব্যাটারির সঙ্গে বিভিন্ন রঙের মরিচ বাতি, বাঁশ ও পলিথিন দিয়ে তৈরী করা হয়েছে বিশেষ এই ঘুড়ি। ব্যাটারি দিয়ে মরিচ বাতিগুলো জ্বলে দীর্ঘক্ষণ। তাই রাতের আঁধারে ঘুড়ি ওড়াতে কোনো সমস্যা হয় না।
তারা বলেন, সমাজিক দূরত্ব মেনে কিছুটা সময় কাটানোর জন্য রাতের বেলা ঘুড়ি ওড়াতে এসেছেন তারা। এটা এখন জামবাড়ি গ্রামের মানুষের বিনোদন মাধ্যম। রাত হলেই সবাই তাকিয়ে থাকে আকাশের দিকে। রাতের আকাশে ঘুড়িতে জ্বলে থাকা মরিচ বাতির আলো সত্যিই মনোমুগ্ধকর।
এ বিষয়ে দলগ্রাম ইউনিয়নের মোরশেদুল ইসলাম বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, করোনাকালে এলাকার কিছু তরুণ কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় নিজ গ্রামে ফিরে এই নান্দনিক ঘুড়িগুলো ওড়াচ্ছেন। রাতের আকাশে এসব মরিচ বাতি লাগানো ঘুড়ি সবার মন কাড়ে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর লালমনিরহাট প্রতিনিধি হাসানুজ্জামান হাসান। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.