আদমদীঘিতে চোরাচন্ডি মন্দিরে আগত ভক্তদের মাঝে শরবত বিতরন

আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি: তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে পথচারী, শ্রমজীবি সহ নানা পেশার মানুষ। জীবন জীবিকার তাগিদে তীব্র তাপদাহ উপেক্ষা করে বাড়ীর বাহিরে সংসারের তাগিদে কর্ম করতে বের হচ্ছে খেটে খাওয়া মানুষজন।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) আদমদীঘি উপজেলায় স্বাধীনতার পর থেকে সর্ব্বচো তাপদাহ ছিল ৪২ ডিগ্রি তাপমাত্রা। যা বিভিন্ন মোবাইল ফোনে দেখা গেছে। আদমদীঘি উপজেলার তেতুলিয়া গ্রামের ৮০ বছরের বৃদ্ধ মমতাজ সাখিদার জানায়, তার বয়সে এতো বেশি তাপমাত্রা দেখেননি তিনি।
এদিকে তীব্র তাপদাহ উপেক্ষা করে গত মঙ্গলবার বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা সদরের ডহরপুর মা কালী চোরাচন্ডি কালী মন্দিরে রোগমুক্তি কামনা ও সন্তান লাভের আশায় (মানত) পুজা দিতে আসে দুই শতাধিক হিন্দু সম্প্রদায়ের ভক্তবৃন্দ।
মন্দিরে আগত ভক্তবৃন্দদের তৃষ্ণা মিটাতে মন্দির কর্তৃপক্ষ ভক্তদের মাঝে ঠান্ডাজল ও শরবত বিতরন করে পিপাসা নিবারণের ব্যবস্থা করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সাধারন সম্পাদক মিহির কুমার সরকার, ডহরপুর চোরাচন্ডি মন্দিরের আহবায়ক অলক মৈত্র ব্যাটেল, পুরোহিত গোপাল মৈত্র, মন্দির কমিটির নেতা দিব্যেন্দু কুন্ডু দুলাল, শংকর চৌধুরী, বলাই কুন্ডু, নিশি শীল, জগাই কুন্ডু, নারায়ন শীল প্রমুখ।
তারা যতদিন এই তীব্র তাপদাহ থাকবে ততদিন মন্দিরে আসা ভক্তদের মাঝে ঠান্ডাজল ও শরবত বিতরণ অব্যাহত রাখবেন। এই চোরাচন্ডি মন্দিরে প্রতি শনিবার ও মঙ্গলবার দিন মুল পূজায় দেশ ও বিদেশ থেকে বিপুল হিন্দু সম্প্রদায়ের নারী ও পুরুষ তাদের রোগমুক্তি কামনা ও সন্তান লাভের আশায় মানত করে থাকেন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.