তাইওয়ানে হামলা হলে বসে থাকবে না যুক্তরাষ্ট্র : বাইডেন

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফের তাইওয়ান ইস্যুতে চীনকে কড়া বার্তা দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। চীন যদি তাইওয়ান আক্রমণ করে, তাহলে মার্কিন সেনারা তাদের রক্ষা করবে জানিয়েছেন তিনি। সিবিএসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাইডেন বলেছেন, “তাইওয়ানের প্রতি মার্কিন নীতি বদলায়নি।”
সাক্ষাৎকারে বাইডেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এক চীন নীতি সমর্থন করে এবং তাইওয়ানের স্বাধীনতা মানে না। কিন্তু যখন তাকে প্রশ্ন করা হয়, চীন যদি তাইওয়ান আক্রমণ করে তখন কি মার্কিন বাহিনী সেখানে যাবে? বাইডেনের জবাব, “অবশ্যই যাবে।”
পরবর্তীতে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জনিয়েছেন, তাইওয়ান নিয়ে মার্কিন নীতির কোনো বদল হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের নীতিই হলো, তাইওয়ান আক্রান্ত হলে তারা তাদের সাহায্য করবে। প্রসিডেন্ট একথা আগেও বলেছেন। তিনি টোকিওতে গিয়ে বলেছেন। তাইওয়ান নিয়ে নীতির বদল হয়েছে, একথা বলা যাবে না।
গত মে মাসে বাইডেনকে জিজ্ঞাসা করা হয়, চীন যদি তাইওয়ান আক্রমণ করে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা কি সেখানে যাবে? সামরিক দিক দিয়ে সেই সংঘাতে জড়াবে যুক্তরাষ্ট্র? 
বাইডেন তখন বলেছিলেন, “হ্যাঁ, আমরা সেই প্রতিশ্রুতি তাইওয়ানকে দিয়েছি।” তখনো হোয়াইট হাউস বলেছিল, তাইওয়ান নিয়ে মার্কিন নীতির বদল হয়নি, সেটাই বাইডেন বোঝাতে চেয়েছেন।
মার্কিন হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি গত মাসে তাইওয়ান সফরে যান। তার সফর প্রসঙ্গে চীন বলেছিল, আমেরিকা আগুন নিয়ে খেলছে। পেলোসির সফরের পরেই তারা তাইওয়ানকে ঘিরে সামরিক কুচকাওাজ শুরু করে দেয়। চীনের দাবি, তাইওয়ান তাদেরই এলাকা।
পরে উচ্চ পর্যায়ের ফরাসি প্রতিনিধিদলও তাইওয়ান যায়। এই মাসের গোড়ায় তাইওয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোসেফ উ  বলেন, চীন ভবিষ্যতে তাইওয়ান আক্রমণ করতে পারে। তারই কৌশল তৈরি করছে তারা।
গত ২ সেপ্টেম্বর মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাইওয়ানের সঙ্গে ১১০ কোটি ডলারের অস্ত্র চুক্তি করেছে। এই অর্থ দিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র ও রাডার কেনা হবে। মার্কিন কংগ্রেসে অনুমোদিত আইন অনুসারে, তাইওয়ানকে সামরিক সাহায্য করতে যুক্তরাষ্ট্র দায়বদ্ধ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.