‘লেকচার’ দেবেন না, যুক্তরাষ্ট্রকে রাশিয়া

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: প্রতিবেশী বেলারুশে পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনে রাশিয়ার পরিকল্পনায় কঠোর সমালোচনায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ তার মিত্ররা। কৌশলগত পারমাণবিক ইস্যুতে বাইডেনের সমালোচনা নিয়ে উপহাস করে শনিবার মস্কো অভিযোগ করেছে, ‘গত কয়েক দশক ধরে ইউরোপে ঠিক একই ধরনের পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করেছে ওয়াশিংটন। সুতরাং আমাদের এ বিষয়ে আমাদের লেকচার দিতে আসবেন না।’
সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর এই প্রথম নিজ ভূখণ্ডের বাইরে বেলারুশে পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন শুরু করেছে রাশিয়া। মিনস্কের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (২৫ মে) রাশিয়া থেকে বেলারুশে রওনা হয়েছে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র। চলতি বছরের মার্চ মাসেই এই পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন পুতিন। ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর ব্যাপক হামলা চলা অবস্থায় দুই দেশের সরকারপ্রধানের চুক্তিটি নতুন করে ভাবাচ্ছে ইউক্রেন ও পশ্চিমাদের। এই ইস্যুতে শুক্রবার বাইডেন ও মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর কঠোর ভাষায় নিন্দা জানিয়েছে।
তবে যুক্তরাষ্ট্রে থাকা রুশ দূতাবাস ওই সমালোচনার জবাবে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আমাদের বিরুদ্ধে বৃহৎ আকারের হাইব্রিড যুদ্ধ শুরু করেছে ওয়াশিংটন। এ পরিস্থিতিতে রাশিয়া এবং বেলারুশের সার্বভৌম অধিকার হলো নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। যা আমরা প্রয়োজনীয় বলে মনে করছি। আর আমরা যে পদক্ষেপ নিয়েছি তা আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।’
যুক্তরাষ্ট্র উদ্বেগ দেখিয়ে বলছে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের মন্তব্যের পরে ১৯৬২ সালে কিউবায় ক্ষেপণাস্ত্র সংকটের পর সবচেয়ে মারাত্মক পারমাণবিক হুমকিতে বিশ্বে। কিন্তু মস্কো বলছে, রাশিয়ার অবস্থানকে পুরোপুরি ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে।
মস্কোর পরিকল্পার বিষয়ে মার্কিন সমালোচনাকে ভণ্ডামি অভিহিত করে রুশ দূতাবাস জানিয়েছে, ‘অন্যকে দোষারোপ করার আগে, ওয়াশিংটনকে কিছুটা আত্মদর্শন করা উচিত। যুক্তরাষ্ট্র গত কয়েক দশক ধরে পারমাণবিক ওয়ারহেড বসিয়ে আসছে ইউরোপ। (সূত্র: রয়টার্স, আল জাজিরা)। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.