বাংলাদেশের মূর্ত প্রতীক খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে এ সরকার আরো জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে: মিনু

বিটিসি নিউজ ডট কম ডট বিডি

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের মূর্ত প্রতীক দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে কারাগারে অন্তরীন রেখে নির্যাতনের মধ্যে রাখায় এ সরকার আরো জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বলে শুক্রবার বিকেলে নীলফামারী জেলা বিএনপি আয়োজিত দলীয় কার্যালয়ে কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার অন্যতম উপদেষ্ঠা, সাবেক মেয়র ও সংসদ সদস্য জননেতা মিজানুর রহমান মিনু তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেন। তিনি আরো বলেন, একটি বিশেষ দেশ দ্বারা প্রভাবিত হয়ে অবৈধ ও অনির্বাচিত সরকার দেশ পরিচালনা করছে। দেশের উন্নয়নের নামে বর্তমান অনির্বাচিত ও অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করে বিদেশে ছেলে জয় এবং বোন রেহানার নিকট পাচার করছে। বিভিন্ন মেগা প্রকল্পের নামে সীমাহীন দুর্নীতি করে দেশকে অর্থনৈতিক ভাবে পঙ্গু করে ফেলেছে। দেশে নতুন করে কোন শিল্প কারখানা স্থাপিত না হওয়ায় কোটি কোটি মানুষ ও কোটি কোটি যুবক যুবতী বেকার হয়ে পড়েছে।

দেশে গণতন্ত্র না থাকায় বিদেশ থেকে বাংলাদেশের শ্রমিক ছাটাই করছে। ফলে দেশের রেমিডেন্সের হার তলানীতে নেমে এসেছে। মানুষ অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু হয়ে পড়েছে। আবার ৭৪ সালের ন্যায় দুর্ভিক্ষের আলামত দেখা দিয়েছে। অথচ প্রধানমন্ত্রী স্বল্প আয়ের দেশ হিসেবে দেশকে ঘোষনা দিয়ে বাংলাদেশের জনগণের সাথে প্রতারণা করেছে। এছাড়াও অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীদের পেনশনের টাকা বাধ্যতামূলকভাবে অর্ধেক দিয়ে অবশিষ্ঠ টাকা সরকারীভাবে কেটে রেখে তাদের ঠকাচ্ছে। যে পরিমান টাকা কেটে রাখা হচ্ছে তার থেকে অনেক কম টাকা মাসিক পেনশন হিসেবে প্রদান করছে বলে তিনি জানান। দেশে এখন খুন, গুম, ধর্ষন ও নির্যাতিন নৈমিত্তিক কাজে পরিণত হয়েছে। যুবলীগ, ছাত্রলীগের কর্মীদের দিয়ে এই সরকার চাঁদাবাজী করছে। কোটা সংস্কারের নামে আন্দোলনকে স্তব্ধ করে দেওয়ার জন্য কোটা পদ্ধতি বাতিল করে সরকার মুক্তিযোদ্ধা ও সংখ্যালঘুদের ঠকিয়েছে।

তিনি আরো বলেন, বেগম জিয়াকে কারাগারে রেখে এই ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রধানমন্ত্রী একতরফা নির্বাচনের পাঁয়তারা করছে। কিন্তু বেগম জিয়া ছাড়া এদেশে কোনভাবেই সংসদ নির্বাচন হতে দেওয়া হবেনা বলে তিনি হুঁশিয়াী দেন। অতি দ্রুত বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, হাসিনা সরকারের পতন ও নিদর্লীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে নির্বাচন প্রদানে বাধ্য করতে আন্দোলন ছাড়া আর কোন বিকল্প পথ নাই । এই সকল আন্দোলন সংগ্রামে এবং সাধারণ জনগণকে সম্পৃক্ত করার জন্য সকল নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করা আহবান জানান তিনি।

কর্মী সভায় নীলফামারী জেলা বিএনপি’র সভাপতি এ্যাডভোকেট আনিসুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নির্বাহি কমিটির রংপুর বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও নীলফামারী জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক সামসুজ্জামান। বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য বিলকিস ইসলাম, সহিদুন্নাহার কাজী হেনা ও মিজানুর রহামন শামীম। এছাড়াও নীলফামারী জেলা বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও অন্যান্য নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.