সেনা প্রত্যাহারের আগেই ভয়ংকর হয়ে উঠছে আফগানিস্তান
বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আফগানিস্তান থেকে চলতি বছরই সেনা প্রত্যাহার প্রক্রিয়া শেষ করতে চলেছে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে তালেবানের উত্থান নিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন বিশ্ব। এ পরিস্থিতিতে আফগান সীমান্তে জিহাদি কার্যকলাপ থামাতে পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনায় বসেছে যুক্তরাষ্ট্র।
এক সংবাদ সম্মেলনে পেন্টাগনের প্রেস সেক্রেটারি জন কিরবি বলেন, আফগান সীমান্তে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে আমরা আলোচনা করছি। আমার মনে হয় এটা তাদের (পাকিস্তান) মনে করিয়ে দেওয়া উচিত যে নিজেদের দেশে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে তারাও সমস্যায় পড়ছে।
সেনা প্রত্যাহার নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে কিরবি সাফ জানান, ২২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন ফৌজ সরানো নিয়ে বদ্ধপরিকর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
তবে সন্ত্রাসবাদীদের সতর্ক করে তিনি বলেন, আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করলেও সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ রুখতে আমরা পরিকাঠামো বা ক্ষমতা ধরে রাখব। সে দেশ থেকে যাতে যুক্তরাষ্ট্রর জন্য কোনও বিপদ তৈরী না হয় সেই বিষয়ে নজর রাখা হবে। আমরা আফগানিস্তানের সকল প্রতিবেশী দেশের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি তারা যেন কাবুলের সার্বভৌমত্বকে সম্মান জানায়।
পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলো কার্যত সন্ত্রাসবাদীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। লস্কর-ই-তইবা, আল কায়দা ও ইসলামি স্টেটের জঙ্গিরা সেখান থেকে সন্ত্রাসের সাম্রাজ্য চালাচ্ছে। আর তাদের মদদ দিচ্ছে পাকিস্তান। পাক সেনা ও আইএসআইয়ের ছত্রছায়ায় সন্ত্রাসবাদীদের প্রশিক্ষণ চলছে। অস্ত্রের জোগানও দেওয়া হচ্ছে।
গত বৃহস্পতিবার মার্কিন সেনেটর জ্যাক রিড সাফ জানান, আফগানিস্তানে তালেবানকে মদদ দিচ্ছে পাকিস্তান। তিনি দাবি করেন, নিজের কাজ হাসিল করার জন্য তালিবান ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়পক্ষের সঙ্গেই তাল মিলিয়ে কাজ করছে পাকিস্তান।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.