আরএমপি প্রতিবেদক:রাজশাহী মহানগরীর চন্দ্রিমা থানার বারো রাস্তার মোড় থেকে এক নারীকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে প্রতারণা করার ঘটনায় প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে আরএমপি’র বেলপুকুর থানা পুলিশ। এসময় আসামির কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেওয়া ৩৫ হাজার টাকা, স্বর্ণালংকার ও একটি আইফোন উদ্ধার করা হয়।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, মাদারিপুর জেলার শিবচর থানা এলাকার এক নারীর সঙ্গে আসামি রুহুল আমিনের গত ১০ মে ২০২৪ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক হয়। গত ২০ মে ঐ নারীকে বিয়ে করবে বলে টাকা, স্বর্ণালংকার ও মোবাইল ফোন নিয়ে রাজশাহীতে আসতে বলে। ভুক্তভোগী ঐ নারী রাজশাহী’র নওদাপাড়া আম চত্বরে এসে রুহুল আমিনের সঙ্গে দেখা করেন। তারা দুইজন রাজশাহী’র বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরি করে ঐ দিন রাত ১১ টায় বেলপুকুর থানার তাড়াশ গ্রামের রফিকুল ইসলাম নামক এক ব্যক্তির বাড়িতে যায়। সকালে ঐ নারী ঘুম থেকে উঠে দেখে তার মোবাইল ফোন, স্বর্ণালংকার ও ৪০ হাজার টাকা নাই এবং আসামি রুহুল আমিনও নাই। রুহুলের মোবাইল ফোন বন্ধ। রুহুল আমিনকে খোজাখুজি করে না পেয়ে নগরীর বেলপুকুর থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন।
আরএমপি’র মতিহার বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মধুসুদন রায়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে বেলপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো: মামুনুর রশিদের দিকনির্দেশনায় বেলপুকুর থানা পুলিশের একটি টিম আসামি রুহুল আমিনকে দ্রুত গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেন।
পরবর্তীতে বেলপুকুর থানার এসআই রিপন হোসাইন ও তাঁর টিম গতকাল ২৩ মে ২০২৪ দিবাগত রাত ১২ টা টায় আরএমপি’র সাইবার ক্রাইম ইউনিটের দেওয়া তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে রাজশাহী মহানগরীর চন্দ্রিমা থানার বারো রাস্তার মোড় থেকে আসামি রুহুল আমিনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায় প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেওয়া মালামাল গুলো তার বাড়িতে আছে। আসামির দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তার বাড়ি তল্লাশি করে ৩৫ হাজার টাকা, বিভিন্ন স্বর্ণালংকার ও একটি আইফোন উদ্ধার করা হয়। অবশিষ্ট মালামাল উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.