শিশুদের বুকে জড়িয়ে কাঁদলেন জেলা প্রশাসক

নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরে তার শেষ কার্যদিবস ছিল গতকাল সোমবার (২১ জুন)। তার বিদায়বেলায় নাটোরের দিঘাপতিয়া বালিকা শিশু সদনে আবেগঘন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
বিকেলে জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়াজ দিঘাপতিয়া বালিকা শিশু সদনের শিশুদের সঙ্গে দেখা করতে যান। তাদের সঙ্গে কথা বলার একপর্যায়ে তিনি শিশুদের জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেলেন। নির্বাক হয়ে পড়েন সবাই।
শিশুদের চোখে জল ছলছল করছিল। এ সময় সেখানে আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। মো. শাহরিয়াজ যখনই কোথাও কোনো সংকট অথবা সম্ভাবনা দেখেছেন সেখানে ছুটে গেছেন। অন্যের বিপদে পাশে দাঁড়িয়েছেন। করোনাকালে সরকারি ত্রাণ সঠিকভাবে বণ্টন করেছেন। অসহায়-দরিদ্রদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়াজ বিটিসি নিউজকে বলেন, নাটোরের প্রতিটি মানুষ ভালো থাকুক। আমার কর্মজীবনের সেরা সঞ্চয় মানুষের ভালোবাসা। সরকারি চাকরিজীবী হিসেবে বদলিজনিত কারণে কোনো জেলায় স্থায়ী হওয়ার সুযোগ নেই। জেলায় কর্মরত অবস্থায় সহকর্মী, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের অনেক রকমের সহায়তা আমি পেয়েছি। কাজ আদায় করার জন্য হয়তো কারও বিরাগভাজন হয়েছি।তিনি আরও বলেন, অনেক সময় ইতিবাচক আবার কখনো নেতিবাচকভাবে মানুষকে উপস্থাপন করা হয়। খোলা চোখে সব কিছু দেখা যায় না। চোখের আড়ালেও অনেক কিছু থাকে। তবে নিজের অজান্তেও যদি কাউকে কষ্ট দিয়ে থাকি, কারও প্রতি অন্যায় করে থাকি তাহলে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। নাটোরের মানুষ খুব আন্তরিক। আমি কোনোদিন তাদের ভুলতে পারব না।এর আগে জেলার সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন সমাজসেবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ফুল ও ক্রেস্ট দিয়ে জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়াজকে বিদায় সংবর্ধনা জানান।
মো. শাহরিয়াজ ২ বছর ৭ মাস নাটোরের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে নিরলসভাবে কাজ করেছেন। তিনি পদোন্নতি পেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা ও সেবা বিভাগে উপসচিব পদে যোগদান করছেন।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নাটোর প্রতিনিধি খান মামুন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.