রাবির নাজমুন নাহার পেল ‘অনন্যা অ্যাওয়ার্ড’

রাবি প্রতিনিধি: আলোকিত নারী, তারুণ্যের আইকন হয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সাবেক শিক্ষার্থী নাজমুন নাহার নারীদের সবচেয়ে সম্মানিত ‘অনন্যা সম্মাননা’ পুরস্কার অর্জন করেছেন।

গত শনিবার (২৩ মার্চ) রাজধানীতে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নাজমুন নাহারসহ আলোকিত ১০ জন নারীর হাতে ‘অনন্যা সম্মাননা’ তুলে দেন পাক্ষিক অনন্যার সম্পাদক তাসমিমা হোসেন ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক।

নাজমুন নাহার রাবি থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পর কিছুদিন সাংবাদিকতা করেন। পরে ২০০৬ সালে শিক্ষাবৃত্তি নিয়ে উচ্চতর পড়াশোনার জন্য যান সুইডেনে। সুইডেনের লুন্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে এশিয়ান স্টাডিজ বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।

ঐতিহাসিক বিশ্বভ্রমণের রেকর্ড ছুঁয়েছেন বাংলাদেশের এই গর্বিত নারী। পতাকাবাহী প্রথম বিশ্ববিজয়ী পরিব্রাজক নাজমুন নাহার এখন পর্যন্ত লাল সবুজের পতাকা উড়িয়েছেন বিশ্বের ১২৫টি দেশে।

গত ২৩ মার্চ ‘অনন্যা সম্মাননা’ পেয়েছেন নাজমুন নাহার। অনুভতির কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সাধারণত অনন্যা সম্মাননা সকলের ভাগ্যে থাকে না। প্রথম শ্রেণির সম্মাননা স্বরূপ নারীদের ইউনিক কিছু কর্মের জন্য এই সম্মাননা দেয়া হয়। অন্যন্যা সম্মাননা পেয়ে আমি সত্যিই অনেক আনন্দিত। এই সম্মাননা আমাকে আরও বেশি অনুপ্রাণিত করছে।

তিনি তার বিশ্ব ভ্রমণ সম্পর্কে বলেন, কোটি প্রাণের লাল সবুজের পতাকা হাতে পূর্ণ করেছি দেশ ভ্রমণের আরেকটি ঐতিহাসিক রেকর্ড! ১২৫ দেশের সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশের পতাকাকে নিয়েছি সর্বোচ্চ উচ্চতায়। গত তিন মাসের সড়ক পথের কঠিন সফর শেষ করে ১৩ জানুয়ারী বাদাগরি হয়ে নাইজেরিয়ার সীমান্তবর্তী সেমে বর্ডার ক্রস করে নাইজেরিয়ায় উড়াই বাংলাদেশের পতাকা।

বিশ্বভ্রমন অনেক কষ্ট হলেও আছে অনেক আনন্দ, শিখেছি অনেক, দেখেছি অনেক! বিশ্ব-ভ্রমণ করতে গিয়ে কখনও ৪৮ ডিগ্রি তাপমাত্রায় পুড়েছি, কখন টানা ২৬ ঘন্টা না খেয়ে ছিলাম, মাটিতে, জঙ্গলে আদিবাসীদের সাথে ঘুমিয়েছি! কখনো ইয়াম আলু, কখন হোয়াইট অরেঞ্জ খেয়েও থেকেছি!

পশ্চিম আফ্রিকার পথে পথে আমাকে অনেক কঠিন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়েছে! কিন্তু আমি সবই আমার মানসিক শক্তি আর পজিটিভ চিন্তা দিয়ে মোকাবেলা করেছি। সকল ধরণের প্রতিবন্ধকতায় এই পতাকা আমাকে ছায়া দিয়েছে অনেক! বাংলাদেশের এই লাল সবুজের পতাকা বহন করার জন্য আমি সব কষ্টকে মাথা পেতে নিয়েছি।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ১ জুন নাজমুন একশ দেশ ভ্রমণের মাইলফলক সৃষ্টি করেন পূর্ব আফ্রিকার দেশ জিম্বাবুয়েতে। তার এই মাইণফলককে সম্মাননা দিয়েছেন জাম্বিয়া সরকারের গভর্নর হ্যারিয়েট কায়েনা। জাম্বিয়া সরকারের গভর্ননের কাছ থেকে পেয়েছেন ‘ফ্ল্যাগ গার্ল’ উপাধি। তিনি ১২৫ তম দেশ হিসেবে ভ্রমণ করেন নাইজেরিয়া।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.