রাবিতে অফিসার সমিতির নির্বাচনে অংশগ্রহণে বাধার অভিযোগ

রাবি প্রতিনিধি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার সমিতির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে স্বতন্ত্র সাধারণ সম্পাদক প্রার্র্থীর নির্বাচনে অংশ নেয়াকে বাধাগ্রস্থ করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়া বিভিন্নভাবে চাপ দিচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

আজ শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেসিয়ামে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য এবং উপ-উপাচার্যের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেন স্বতন্ত্র সাধারণ সম্পাদক প্রার্র্থী কামরুজ্জামান চঞ্চল।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, গত ২৮ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এমএ বারী কর্তৃক স্বাক্ষরিত একটি চিঠি আমাকে দেওয়া হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়, নির্বাচনী ইশতেহারে আমি এমন কিছু বিষয় উল্লেখ করেছি যা ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারে । এটাও বলা হয়েছে যে, এ ধরনের বক্তব্য জনসম্মুখে প্রচারের মাধ্যমে আমি চাকুরি বিধি লঙ্ঘন করেছি এবং আমার বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না সে বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে। কিন্তু চাকুরি বিধির কোন বিষয়টি লঙ্গন করেছি সেটি সুনির্দিষ্টভাবে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়নি।

তিনি আরো বলেন, আমাকে চিঠি দেওয়া হয়েছে ২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার এবং চিঠির জবাব দিতে বলা হয়েছে নির্বাচনের দিন ৩১ মার্চ। এর মধ্যে ২৯ এবং ৩০ মার্চ সাপ্তাহিক ছুটি। এর মানে আমাকে কোনো সময়ই দেওয়া হয়নি। তাই পত্রের জবাব প্রদানের সময়সীমা দশ কার্যদিবস বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছি। এর প্রেক্ষিতে আমি বলতে চাই, আমি যাতে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা সঠিকভাবে চালাতে না পারি তাই আমাকে বিড়ম্বনার সম্মুখীন করে এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ঘায়েল করতে শোকজ চিঠি পাঠানো হয়েছে। যতই বাধা বিপত্তি আসুক আমি অফিসারদের যৌক্তিক দাবি আদায়ের লক্ষ্যে নির্বাচন থেকে সরে দাড়াবো না।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এম. আব্দুস সোবহান ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়া আমাকে ব্যক্তিগতভাবে নির্বাচন বিষয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে বিভিন্ন কথা বলছেন যা আমি চাপ এবং হুমকি হিসেবে দেখছি।

প্রসঙ্গত, আগামীকাল রবিবার অফিসার সমিতির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর রাবি প্রতিনিধি মো: মুজাহিদ হোসেন।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.