রাজশাহীর আম চাষীরা মুকুল পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক: কুয়াশা ও শীত। এমন অবহাওয়ার মধ্যে দেখা দিয়েছে আমের মুকুল। তবে শীতের চেয়ে কুয়াশায় আমের মুকুলের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
তারা বলছেন- কুয়াশায় আমের মুকুল নষ্ট হয়ে যায়। তবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর বলছে- আমের মুকুল নষ্ট হওয়ার আশংকা নেই। এখনও পুরোপুরি গাছে মুকুল আসেনি। পুরোদমে মুকুল আসতে এখনও সপ্তাখানেক সময় লাগবে।
অধিদফতর সূত্র জানায়- রাজশাহী জেলায় ১৭ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে আমের বাগান রয়েছে। জেলায় সবচেয়ে বেশি লক্ষণ ভোগ আম চাষ হয়। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে খিরসাপাত আম।
অন্যদিকে, রাজশাহী জেলায় সবচেয়ে বেশি আম চাষ হয়-চারঘাট ও বাঘায়। এই দুই উপজেলাতেই ৭০ শতাংশ আম চাষ হয়। বাকি ৩০ শতাংশ আম পুরো জেলায় চাষ হয়।
জানা গেছে- রাজশাহীর বুধপাড়া, মেহেরচন্ডি, পবার হরিয়ান, বায়া, নওহাটা, কুখুন্ডি, কাটাখালী, শ্যামপুর এলাকায় আমের গাছে আগাম মুকুল আসেছে। এর মধ্যে পবার পরিলায় বেশ কিছু বাগানে পরিচর্যা করতে দেখা গেছে কৃষকদের।
আমচাষি আবের আলী জানায়, ‘বাগানে ২৭টি আমের গাছ রয়েছে। এর মধ্যে ১৭-১৮টি গাছে আমের মুকুল এসেছে। সব গাছেই কিটনাশক দিচ্ছে। বাকিগুলোতে মুকুল আসার সম্ভাবনা রয়েছে।’
আশরাফের মোড় এলাকায় ব্যবসায়ী আবদুস সালাম বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান- তিনটা বাগান কিনেছি। নওহাটার বাগানে ভালো মুকুল এসেছে। বায়া ও খড়খড়ির বাগানে হালকা মুকুল এসেছে। তবে আশা করছি এক সপ্তার মধ্যে পুরোদমে মুকুল আসবে। নওহাটার বাগানে ভিটামিন ও গোধ হরমন জাতীয় কিটনাশক দিয়েছে। যাতে করে মুকুলগুলো নষ্ট না হয়।
এছাড়া আমের মুকুলের পরিচর্যার ক্ষেত্রে কিটনাশক ব্যবহার করা হয়েছে। এক্ষেত্রে মুকুল আসার আগে, মুকুল পুরোপুরি ফুটলে ও গুটি বাধার পরে কিটনাশক ব্যবহার করতে কৃষকদের বলা হয়ে থাকে বলে জানায় রাজশাহী কৃষি সম্পসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক শামসুল হক।
তিনি জানান, ভিটামিন, গোধ হরমন দেয়ার দরকার নেই। গাছে পোকা-মাকড় না থাকলে ও গাছের বৃদ্ধি স্বাভাবিক থাকলে কিটনাশকের ব্যবহার প্রয়োজন নেই। স্বাভাবিকভাবেই আমের ফলন ভালো হবে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নিজস্ব প্রতিনিধি মোঃ মাইনুর রহমান (মিন্টু) রাজশাহী।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.