ভারতের ৩৮ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা চীনের দখলে

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গত ছয় দশক ধরে লাদাখ অঞ্চলে ভারতের ৩৮ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা চীন দখল করে রেখেছে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভি মুরালীধরন। স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) লোকসভায় লিখিত এক বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মুরালীধরন বলেন, কেন্দ্রশাসিত লাদাখের শাকসগাম উপত্যকায় ভারতের ৫ হাজার ১৮০ বর্গ কিলোমিটার ভূখণ্ড দখল করে পাকিস্তান চীনকে দিয়েছে। ১৯৬৩ সালে স্বাক্ষরিত তথাকথিত চীন-পাকিস্তান ‘সীমানা চুক্তির’ অধীনে চীনের কাছে এটি হস্তান্তর করেছে পাকিস্তান।
বহুজন সমাজ পার্টির এমপি শ্যাম যাদব সিংয়ের প্রশ্নের উত্তরে মুরালীধরন বলেন, ভারত সরকার ১৯৬৩ সালের তথাকথিত চীন-পাকিস্তান সীমানা চুক্তিকে কখনই স্বীকৃতি দেয়নি। এটি অবৈধ্য।
মন্ত্রী বলেন, সত্য হলো জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলো ভারতের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ, যা পাকিস্তান ও চীনা কর্তৃপক্ষকে বেশ কয়েকবার স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে।
১৯৬২ সালে সংঘাতের পর, চীন ও পাকিস্তান উভয়েই ভারতের উপর কৌশলগত চাপ সৃষ্টির জন্য তাদের সম্পর্ককে শক্তিশালী করার সুযোগ খুঁজেছে। সেই দর কষাকষির অংশ হিসেবে ১৯৬৩ সালে চীন ও পাকিস্তানের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যদিও দুই দেশের মধ্যে কোনো সীমান্ত নেই। তারপরেও এটি  চীনকে হস্তান্তর করেছে পাকিস্তান।
পরবর্তীতে শাকসগাম উপত্যকাসহ তাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সুসংহত করা ও অবৈধ যোগাযোগ আরও বাড়াতে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ২০১৩ সালে চীন পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর (সিপিইসি) ঘোষণা করে।
২০১৩ সাল থেকে ভারত ধারাবাহিকভাবে চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) এবং সিপিইসিকে সার্বভৌমত্বের অধিকার লঙ্ঘন হিসাবে বিরোধিতা করে আসছে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.