আইএস উত্থানের শঙ্কা

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইরাক ও সিরিয়ায় আবারও জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের উত্থানের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এজন্য সিরিয়ার দুর্বল নেতৃত্ব এবং অপ্রতুল নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে দায়ী করছে ইরাকি বাহিনী।
সম্প্রতি ইরাকের হাসাকা শহরের একটি কারাগারে ভয়াবহ হামলায় অন্তত ৫০ জন নিহত হন। এছাড়া সিরিয়ার কারাগারে হামলা চালিয়ে নিজেদের দুই শতাধিক সদস্যকে মুক্ত করে আইএস। গত তিন বছরের মধ্যে জঙ্গিগোষ্ঠিটির এটিই ছিল সবচেয়ে বড় হামলা।
২০২০ সালে ইরাকি বাহিনীর অভিযানে মসুল পুনরুদ্ধাদের মধ্যদিয়ে পতন ঘটে আইএসের। স্বাভাবিক হতে থাকে পরিস্থিতি। স্বস্তি নেমে এসেছে জনজীবনে। আইএস নির্মূলের পর ইরাকের সিরিয়া সীমান্তে চলছে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বসানো হয়েছে সামরিক ঘাঁটি।
তবে হঠাৎ করে ইরাক ও সিরিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে বেড়েছে আইএসের তৎপরতা। সম্প্রতি ইরাকের হাসাকা শহরের একটি কারাগারে ভয়াবহ হামলা চালায় জঙ্গিগোষ্ঠীটি।
এছাড়া, গত জানুয়ারি মাসে আইএসের হামলায় প্রাণ হারান ইরাকি সেনাবাহিনীর ১১ সদস্য। একই দিন সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত কুর্দি বাহিনী নিয়ন্ত্রিত একটি কারাগারে হামলা চালায় আইএস। এতে ৪০ কুর্দি যোদ্ধাসহ অন্তত ৭৭ জন নিহত হন।
কারাগার থেকে বের করে নিয়ে যাওয়া হয় দুই শতাধিক আইএস সদস্যকে। গত তিন বছরের মধ্যে এটিই ছিল আইএসের সবচেয়ে বড় হামলা। এসব ঘটনায় মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে আইএসের উত্থানের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, সন্ত্রাসীরা যেন আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে। আমরা নিরাপদে বাঁচতে চাই। সরকার যেন এই অঞ্চলে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করেন। প্রয়োজনে সেনাবাহিনীতে নতুন সদস্য নিয়োগ দেয়া হোক।
ইরাকের নিরাপত্তা কর্মকর্তরা বলছেন, নিজেদের অস্তিত্বের জানান দিতে নতুন করে সংগঠিত হচ্ছে আইএস। এর জন্য প্রতিবেশী দেশের দুর্বল নেতৃত্ব ও পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যব্স্থা না থাকাকে দায়ী করছেন তারা।
ইরাকি বাহিনী কমান্ডার হামেদ আব্দুল্লাহ বলেন, আমরা আশা করি, সিরিয়ায় খুব দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। তা নাহলে এর প্রভাব আমাদের দেশেও পড়বে। সন্ত্রাসীরা আবার সক্রিয় হয়ে উঠবে। তারা সিরিয়ায় আরও বড় আকার হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমরা সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করছি।
এর আগে, গত বুধবার সিরিয়ার ইদলিবে অভিযান চালিয়ে আবু ইব্রাহিম আল-হাশিমি আল-কুরায়েশি নামের আইএসের এক শীর্ষ নেতাকে হত্যার দাবি করে মার্কিন সেনাবাহিনী। যদিও ওই অভিযানে বেশ কয়েকজন বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারায় বলে জানায় বিভিন্ন পর্যবেক্ষণ সংস্থা। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.