বছরের পর বছর পিছিয়ে পড়া পলাশবাড়ীতে নেই আর নেই 

গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ, গোবিন্দগঞ্জ, সাঘাটা, ফুলছড়ি, গাইবান্ধা সদরে ব‍্যাপক উন্নয়ন সার্ধিত হলেও জেলার ভিতর একমাত্র হাইওয়ে মহাসড়কের উপর অবস্থিত পলাশবাড়ী উপজেলার কোন দৃশ্যমান উন্নয়ন নেই।
এখানে নেই আর নেই। দিনের পর দিন, বছরের পর বছর, উন্নয়ন বঞ্চিত হয়ে এ উপজেলা দেশের অন‍্যান‍্য উপজেলা থেকে  অনেক বছর পিছিয়ে আছে। পিছিয়ে পড়া পলাশবাড়ী উপজেলার মানুষের যেন ক্ষোভের শেষ নেই।
এখানকার রাস্তাঘাট এখনো তিনভাগ কাঁচা। ভালো শিল্প-প্রতিষ্ঠান, মিল-কারখানা নেই। গড়ে উঠেনি নামী-দামী কোন প্রতিষ্ঠান। সরকারিভাবে কোন খেলার মাঠ নেই। বর্ষায় বৃষ্টির পানি বের হওয়ার কোন ব‍্যবস্থা নেই।
আশেপাশে নদ-নদী থাকলেও সেগুলো নালায় পরিণত হয়েছে। সেগুলো মৃত প্রায়। এখানে চলছে ইচ্ছামতো পুকুর ভরাট ও তিন ফসলি কৃষি জমিতে পুকুর খনন। যেমন,কাশিয়াবাড়ী বাজারে যেতেই পাকা সড়কের পাশে হেন্দুপাড়ায় চলছে কৃষি জমি ভেকু দিয়ে কেটে পুকুর খনন।
উপজেলার হাট-বাজারগুলো কিছুদিন আগেও রমরমা ছিল। বতর্মানে হাট-বাজার সেগুলোর প্রতি সাধারণ মানুষ এবং  ব‍্যবসায়ীদের অনিহার সৃষ্টি হয়েছে। একটু ভালো সুযোগ-সুবিধা পেতে ব‍্যবসায়ীরা ক্রয়-বিক্রয়ের জন‍্য ছুঁটছেন পার্শ্ববর্তী উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারের দিকে। এক সময় উপজেলায় ব‍্যাপক মিল-চাতাল গড়ে উঠেছিল। বর্তমানে সেগুলো বন্ধ।
উপজেলার ৮ টি ইউনিয়নের মধ্যে  কিশোরগাড়ী,হোসেনপুর,বেতকাপা ও হরিনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভবন নেই। এগুলোর ভবনের জন‍্য কারও কোন মাথা ব‍্যথাও নেই। হোসেনপুর, বরিশাল, মনোহরপুর, হরিনাথপু ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ভবন নেই। এখানে ভূমি সেবা চলছে জরাজীর্ণ ঘরে।
পলাশবাড়ী পৌরসভার নিজস্ব ভবন নেই। সরকারি ভাবে কোন ক্রয় কেন্দ্র নেই। নেই বড় কোন ট্রেনিং সেন্টার। পরিবার-পরিজন নিয়ে ভালো বিনোদনের জন‍্য নেই ভালো পার্ক।
নেই উপজেলার বেকার যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির ব‍্যবস্থা। নেই উদ‍্যোক্তা সৃষ্টির কোন ব‍্যবস্থা।
উপজেলা বিআরডিবি কিছু উদ‍্যোক্তা সৃষ্টি করলেও কিছু মানুষের কারণে চলছে উদ‍্যোক্তা নিধন প্রক্রিয়া।
কারোরেই যেন ইচ্ছা নেই উপজেলাতে কিছু হক বা করার। সকলেই আছেন নিজ নিজ আখের গোছাতে। এক টাকা দান করলে এক লক্ষ বার জাহির না করলে ক্ষান্ত নয় কেউ।
উপজেলার ছোট-বড় দোকানদার ও বিভিন্ন শ্রেণীর ব‍্যবসায়ীদের চোখে মুখে চিন্তার ছাপ। কারও মুখে হাসি নেই। বেচা-বিক্রি ভালো হচ্ছে না। মানুষ ক্রয়-বিক্রয় করছেন পার্শ্ববর্তী উপজেলায়। পুঁজি পাট্টা নেই। সমিতির ঋণের উপর বেশিরভাগ ব‍্যবসায়ী নির্ভরশীল।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর গাইবান্ধা প্রতিনিধি মো: শাহরিয়ার কবির আকন্দ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.