প্রায় চার লক্ষ নবদম্পন্তি বাঁধা পড়লেন সাতপাকে

কলকাতা (ভারত) প্রতিনিধি: করোনাকালে দেশের মধ্যে প্রায় চারলক্ষের বেশী পাত্রপাত্রী বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন।সেই সাথে ব্যবসাও হলো প্রায় তিরিশ হাজার কোটি টাকার বেশী।
সমীক্ষা করে এমনই তথ্য দিচ্ছেন ব্যবসায়ীদের সর্বভারতীয় সংগঠন কনফেডারেশন অফ অল ইণ্ডিয়া ট্রেডার্সের কর্তারা।
ফেডারেশনের মহাসচিব প্রবীণ খাণ্ডেলওয়ালা বিটিসি নিউজকে বলেন, শুধু পশ্চিমবঙ্গেই নয়, গোটা দেশে বিয়ের উৎসাহ লক্ষ করার মতো। করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের মধ্যেও জানুয়ারির শেষ থেকে দোলপূর্ণিমা পর্যন্ত ব্যাপক হারে বিয়ে হতে চলেছে।
২০২১সালটা ছিল বিয়ের বছর। প্রায় চার লক্ষ মানুষ তাঁদের চারহাত এক করেছেন। রেজিস্ট্রির সংখ্যা ১,৯ লক্ষ। এর বাইরে প্রচুর সংখ্যক আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষ চুপিসারে চারহাত এক করেছেন। গতবছরও সাড়ে তিন লক্ষ নরনারি রেজিস্ট্রি করেছেন। বিয়ে উপলক্ষে সামাজিক রীতিনীতি সমেত পঙ্কতি ভোজসহ খরচটাও ছিল যথেষ্ট উৎসাহ ব্যঞ্জক ব্যবসায়ীদের কাছে। করোনাকালে মোটামুটি ভালই লাভের মুখ দেখেছে ব্যবসায়ীরা। প্রশ্ন হলো করোনা মহামারিতেও কেন এত বিয়ের ধূম।
এবিষয়ে কল্যানী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্বের অধ্যাপক শ্রী দেবদ্যুতি কর্মকার বিটিসি নিউজকে বলেন, বিয়ের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম সামাজিক ও অর্থনৈতিক সুরক্ষা।
করোনাকালে অনেকেই আর্থিক তথা সামাজিক নিরাপত্তার মুখোমুখি হয়েছিলেন। বাড়িতে দীর্ঘ কয়েকমাস বসে থাকাটাও একাকীত্বের কারণ হয়েছে।বিয়ে তাদের সুরক্ষা দেবে বলে মনে করেছেন।
পাশাপাশি বিয়েকে কেন্দ্র করে অনেক সামাজিক রীতিনীতি থেকে দূরে থাকার জন্য ও সীমিত সংখ্যক নিমন্ত্রিতদের নিয়ে অনুষ্ঠানে ব্যয়সঙ্কোচের প্রসঙ্গও প্রাধান্য পেয়েছে।
স্কুল ছাত্রছাত্রীদেরও লাগাতার বিয়ে হয়েছে করোনার অজুহাতে ব্যয়সঙ্কোচ করার ও সামাজিক রীতিনীতি থেকে দূরে থাকার। বয়স বা আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ক্ষান্ত থেকেছেন অনেকেই। সামাজিক ও আর্থিকভাবে পিছিয়েপড়া জনগোষ্ঠী করোনার অজুহাতে বাড়ির নাবালিকাকে তুলে দিয়েছেন বিয়ের আসরে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ (বাংলাদেশ) এর কলকাতা (ভারত) প্রতিনিধি স্বপন দেব। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.