চীন বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী : স্পিকার

বিশেষ প্রতিনিধি: স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, চীন বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী। চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অত্যন্ত সুদৃঢ়। বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, কর্ণফুলী টানেল নির্মাণ, পদ্মাসেতু নির্মাণে কারিগরি সহায়তা, ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে সহায়তা, কোভিডকালীন সিনোফার্ম ভ্যাক্সিন সহায়তাসহ চীন সর্বদা বাংলাদেশের পাশে থাকে।
আজ রবিবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) সংসদ ভবনস্থ কার্যালয়ে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী’র সাথে বাংলাদেশে নবনিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ আহ্বান জানান।
সংসদের গণসংযোগ বিভাগ জানায়, স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫২ ও ১৯৫৭ সালে চীন সফর করেন, যার অভিজ্ঞতা তিনি পরবর্তীতে লিপিবদ্ধ করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে। এসময় তিনি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসারে চীনের ধারাবাহিক সহযোগিতা কামনা করেন।
তিনি বাংলাদেশের সাথে চীনের বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনা, আঞ্চলিক সহযোগিতা ও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলসমূহে চীনের বিনিয়োগ বৃদ্ধিসহ রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসনে নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে প্রচেষ্টা চালানোর আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চীন সফরের কথা স্মরণ করে বলেন, আন্তর্জাতিক ফোরামে সকল ইস্যুতে চীন বাংলাদেশকে সমর্থন ও সহযোগিতা করে থাকে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বিরাজমান। ভিশন ২০৪১ অর্জনে চীন বাংলাদেশের পাশে থাকবে। পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন রাষ্ট্রদূত।
এ সময় বাংলাদেশস্থ চীন দূতাবাস ও সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ প্রতিনিধি মো: লোকমান হোসেন পলা। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.