‘আইটি ভিশন সোসাইটি’র অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন (ইনফরমেশন টেকনিকাল ভিশন সোসাইটি)

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জে প্রান কেন্দ্রে হাজী আলাউদ্দিন মারকের্ট দ্বিতীয় তলায় অবস্থীত সিরাজগঞ্জের হাজারো বেকার যুবকের হতাশায় পথ দেখা”্ছে আইটি ভিশন সোসাইটির একটিশাখা।

সেখানে গিয়ে ছাত্র ছাত্রীদের সাথে কথাবলে জানাযায় অতি অল্প অর্থ ব্যয় করে উন্নত কম্পিউটার টেকলোলজিতে বিভিন্নো শাখায় জাতীয় এবং আন্তজাতিক পর্যয়ে সাফল্যে অর্জন করছে। আরো জানাযায় মেধা মূলায়নের মাধমে অনেক বেকার যুব-যুবাদের উক্ত প্রতিষ্ঠান কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছে এবং উক্ত প্রতিষ্ঠানে কোর্স শেষের ছাত্র-চাত্রীরা তিন মাসে ইন্টর্নী করে বিভিন্নো সরকারী এবং বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে আতœকর্মসংস্থানের স্বনিভর জাতি গঠনে উক্ত প্রতিষ্ঠান গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করছে। ২০০৭ সালে গাজীপুরের টঙ্গীতে এক ঘরোয়া বৈঠকের মাধ্যমে কয়েকজন দানশীল ব্যক্তি ও অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তার উদ্যোগে সংস্থাটির আতœপ্রকাশ ঘটে। শুরুতে মাত্র ২ টা কম্পিউটার আর কয়েকটা চেয়ার-টেবিলই ছিল এর সম্পত্তি।

পরে ধীরে ধীরে উপদেষ্টা ও প্রতিষ্ঠাতাদের দানে ও শ্রমে ছোট আকারে কার্যক্রম শুরু হয়। ওই বছরের জুন মাসে নারায়নগঞ্জের জামতলায় একটি শাখা খোলার মাধ্যামে ঢাকার বাইরে কার্যক্রম বিসÍার শুরু হয় এ আইটি ভিশন সোসাইটির।

সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক মোঃ মাহবুব আলম জানান, ২০০৮ সালে বাংলাদেশ সরকারের অ্যাক্ট (১৮৬০) অনুযায়ী জয়েন্ট স্টক কোম্পানি হিসেবে নিবন্ধন নেয় আইটি ভিশন সোসাইটি।

এর পর থেকে বিগত ১০ বছরে ১০ টি জেলায় শাখা গঠিত হয় এ সংস্থার। বর্তমানে ঢাকার উত্তরা, নরসিংদী, ময়মনসিংহ, সিরাজগঞ্জ, রংপুর, দিনাজপুর, হবিগঞ্জ, গাজীপুর, শেরপুর ও জামালপুরে সোসাইটির শাখা চালু রয়েছে।
প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান জনাব বিঃজেঃডাঃ মোঃ জিল্লুর রহমান সাথে কথা বলে জানাযায় ব্যবসা নয় সেবার মাধমে হতাসা গরস্থ মানুষদের আশার আলো জাগাতে তার কিছু কর্মসূচী ব্যক্ত করে যথা বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান, বন্যার্তদের মাঝে ত্রান বিতরণ, সুবিধাবঞ্চিত নারীদের মাঝে

সেলাই মেশিন প্রদান, গরীব মেধাবীদের বিনামূলে কাম্পিউটার প্রশিক্ষন -এসব কর্মকান্ডের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের নিকট সমাজ কল্যাণকামী একটি সস্থা হিসেবেও এর পরিচিতি গড়ে উঠেছে।

উক্ত প্রতিষ্ঠানে ২০০৭ সাল থেকে ২০১৮মার্চ পর্যন্ত ৩৫ হাজার বেকার যুব-যুবাদের আতœকর্মসংস্থা করে এবং বিভিন্ন বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৬১ হাজারের অধিক কর্মসংস্থা সৃষ্টি করে।তবে এসব কর্মকান্ডের ধারাবাহিকতায় প্রতিষ্ঠানটি একটি নির্ভরযোগ্যতা প্রমানে সক্ষম হয়।

সেটার প্রমান মেলে ২০১৪ সালে বাংলাদেশ সরকারের যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সাথে ‘দারিদ্র দূরীকরণে কারিগরি চুক্তি’ সম্পাদনের মাধ্যমে। এরপর থেকে এখানকার প্রশিক্ষিতরা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে ইস্যুকৃত সনদপত্র পেয়ে আসছেন বিগত বছর অর্থাৎ ২০১৭ সালে সারা দেশে বিভিন্ন যুব কার্যক্রমে সফল অংশগ্রহন ও অবদান রাখার জন্য জাতীয় যুব দিবসে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে গাজীপুর, হবিগঞ্জ ও নরসিংদী জেলা শাখা অফিসকে শ্রেষ্ঠ বেসরকারী সংস্থা হিসেবে পুরস্কৃত করা হয়।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.