যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হতে ভোটের দৌড়ে এগিয়ে লিজ ট্রাস

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাজ্যে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির নেতা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষে আশা করা হচ্ছে লিজ ট্রাস জয়ী হবেন ও আগামি সপ্তাহে তার নাম দেশটির পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করা হবে। ধারনা করা হচ্ছে লিজ ট্রাস বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের স্থলাভিষিক্ত হতে যাচ্ছেন।
দুই মাসের নির্বাচনি প্রচারণা শেষে অনলাইন ও ডাকযোগে কনজারভেটিভ পার্টি সদস্যদের ভোট দেয়া শেষ হয় স্থানীয় সময় শুক্রবার বিকাল ৫টায়। এতে দেখা যায় দুজন প্রধান প্রতিযোগী বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস ও সাবেক অর্থমন্ত্রী রিশি সুনাক টেলিভিশন বিতর্কে অংশ নেয়াসহ নির্বাচনের কাজে দেশজুড়ে ঘুরে বেড়িয়েছেন।
আর এই দুজন থেকে একজনের নাম যুক্তরাজ্যের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা হবে আগামী সোমবার স্থানীয় সময় দুপুর সাড়ে ১২টায়, রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথের কাছে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের পদত্যাগপত্র পেশ করার ঠিক একদিন আগে।
এদিকে দুই প্রার্থীর এই ‘কঠোর ও উদ্দীপনায় ভরা’ নির্বাচনী প্রচারণার প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে কনজারভেটিভ পার্টি সভাপতি এন্ড্রু স্টিফেনসন ভোট গ্রহণের সমাপনী বক্তৃতায় বলেন, ‘আমি জানি আমাদের দল একজন নতুন নেতাকে ঘিরে ঐক্যবদ্ধ হবে ও দেশের সামনে আসা চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করবে’।
বরিস জনসনের পদত্যাগের ঘোষণার পরপরই ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির নেতা নির্বাচনে দেশজুড়ে ছড়িয়ে থাকা প্রায় দুই লাখ পার্টি সদস্যের ভোটগ্রহণ শুরু হয় আগস্ট মাসের শুরুতে। সদস্যদের ভোটে ৪৭ বছর বয়সী লিজ ট্রাস তার প্রতিদ্বন্দ্বি রিশি সুনাকের চেয়ে অনেক বেশি সমর্থন আদায় করেন। নির্বাচনী প্রচারে লিজ ট্রাস তার অর্থনৈতিক নীতিতে গত কয়েক দশকের মধ্যে উচ্চহারের মুদ্রাস্ফিতির মুখে পড়া যুক্তরাজ্যে কর হ্রাস ও সর্বক্ষেত্রে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে গুরুত্ব দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
নির্বাচনী প্রচারণায় কনজারভেটিভ পার্টির সাধারণ কর্মীরা সাবেক লিবারেল ডেমোক্রেট লিজ ট্রাসের ডানপন্থি প্লাটফর্মের অনুসারী হয়ে ওঠেন যদিও তিনি ২০১৬ সালের গণভোটের সময় যুক্তরাজ্যের ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসার বিরোধিতা করেছিলেন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.