রাজশাহীর বাগমারায় জমি নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ১০ জন আহত

বাগমারা প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাগমারার একডালা গ্রামে জমি দখলকে কেন্দ্র করে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। আহতদের স্থানীয় স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আহতরা হলেন, একডালা গ্রামের আহাদ আলী (৭৫), সাহাদৎ হোসেন (৪৫), আসাদুল ইসলাম (৩৫), আমিনুল ইসলাম (২৮), জহুরুল আলম (২২), সাইফুল ইসলাম (৩০), রেজাউল করিম (২৫), ইনছান আলী (২০)। আহতদের মধ্যে আহাদ আলী, আমিনুল ইসলাম, জহুরুল আলম ও সাইফুল ইসলামের অবস্থা আশংকজনক হওয়ায় তাদেরকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

খবর পেয়ে বাগমারা থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে । ঘটনার পর থেকেই এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার গনিপুর ইউনিয়নের একডালা গ্রামের আহাদ আলীর সাথে একই গ্রামের সাইফুল ইসলামের জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। ওই ঘটনায় আহাদ আলীর ছেলে সাহাদৎ হোসেন বাদী হয়ে সাইফুল ইসলামসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করে।

বিষয়টি নিয়ে বাগমারা থানার পুলিশ মিমাংসার জন্য একাধিকবার বৈঠকের আয়োজন করে। বৈঠকে অভিযোগকারী সাহাদৎ হোসেন উপস্থিত থাকলেও সাইফুল ইসলাম অনুপস্থিত থাকেন। বৈঠকের পর বৈঠকে বিবাদী সাইফুল ইসলাম অনুপস্থিত থাকায় থানা পুলিশ বাদী সাহাদতের পক্ষে রায় দিয়ে দেন। থানা পুলিশের রায় পেয়ে সাহাদৎ হোসেন বৃহস্পতিবার সকালে ওই জমিতে গেলে সাইফুল ইসলাম তার লোকজন নিয়ে সাহাদৎ হোসেনের উপর হামলা চালায়।

খবর পেয়ে সাহাদৎ হোসেনের বাবা আহাদ আলী ও ভাইয়েরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসে এবং দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। সংঘর্ষে দু’পক্ষের ১০ জন আহত হয়। খবর পেয়ে বাগমারা থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসে এবং পরিস্থিতি শান্ত করেন। স্থানীয় লোকজনের সহযোগীতায় পুলিশ আহতদের উদ্ধার করেন এবং চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। আহত সাহাদৎ হোসেন অভিযোগ করেন, একটি প্রভাবশালী মহল সাইফুল ইসলামকে ইন্দন দেয়ার কারনেই সে জোরপূর্বক আমার বাবার জমি দখল ও ভোগ করার চেষ্টা করছে।

আমি বাঁধা দিতে গেলে ওই সকল প্রভাবশালীদের ইন্দনে সাইফুল ইসলাম তার ভাড়া করা লোকজন নিয়ে আমাদের উপর হামলায় চালায়। তাদের হামলায় আমার বাবা ও ভাইসহ ৮ জন রক্তাক্ত জখম হয়। তিনি হামলাকারীদের বিচারের দাবী জানান। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে বাগমারা থানার ওসি নাছিম আহম্মেদ জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় অনেকেই আহত হয়েছে। আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পাওয়ার পর অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.