যুক্তরাষ্ট্রে গির্জার সামনে গুলি, নিহত-৩

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্কযুক্তরাষ্ট্রের আইওয়া রাজ্যে একটি গির্জার বাইরে গাড়ি রাখার জায়গায় গুলি চালিয়ে দুই নারীকে হত্যার পর এক অস্ত্রধারী নিজে আত্মহত্যা করেছেন।
রয়টার্স জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার আইওয়ার এইমস শহরের কর্নারস্টোন চার্চের বাইরে এ ঘটনা ঘটে। সে সময় গির্জার ভেতরে একটি অনুষ্ঠান চলছিল।
নিউ ইয়র্কের বাফেলো, টেক্সাসের ইউভালডে এবং ওকলাহোমার টুলসায় একের পর এক বন্দুক সহিংসতার ঘটনায় প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ভাষণের পরপরই এই ঘটনা ঘটল।
স্টোরি কাউন্টির ডেপুটি শেরিফ নিকোলাস লেনি জানান, কর্নারস্টোন চার্চের বাইরে গুলির খবর পেয়ে তিনি যখন ঘটনাস্থলে পৌঁছান, সেখানে তিনজনকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। নিহতদের পরিচয় বা তাদের মধ্যে সম্পর্ক কী সে বিষয়ে জানাতে পারেননি।
বৃহস্পতিবার ওই ঘটনার কিছু সময় আগেই এক ভাষণে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন একের পর এক বন্দুক হামলার ঘটনায় হতাশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “যথেষ্ট হয়েছে!”
হামলাকারীদের ইতিহাস খতিয়ে দেখার পাশাপাশি অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ জোরদার করতে কংগ্রেসের প্রতি আহ্বান জানান প্রেসিডেন্ট।
গত কয়েক সপ্তাহে বন্দুক হামলার বেশ কয়েকটি ঘটনা কাঁপিয়ে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রকে। ১৪ মে নিউ ইয়র্কের বাফেলো শহরে কৃষ্ণাঙ্গ অধ্যুষিত এলাকার একটি সুপারমার্কেটে শ্বেতাঙ্গ এক অস্ত্রধারীর গুলিতে ১০ জনের প্রাণ যায়।
২৩ মে ফিলাডেলফিয়ায় এক হাই স্কুল থেকে বের হওয়ার পরপরই তিন কিশোর গুলিবিদ্ধ হয়। তার আগের সপ্তাহে মিশিগান, লুইজিয়ানা ও টেনেসিতে হাই স্কুলের সনদ দেওয়ার অনুষ্ঠানে গোলাগুলির তিনটি ঘটনা ঘটে।
সবচেয়ে ভয়াবহ ছিল ২৪ মে টেক্সাসের একটি প্রাথমিক স্কুলে নির্বিচারে গুলি। সেখানে গুলিতে ২১ জনের প্রাণ যায়, যাদের মধ্যে ১৯ জন ওই স্কুলের শিক্ষার্থী।
সেদিনই যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির আরেকটি প্রাথমিক স্কুলের সামনে গুলিতে তিন শিক্ষার্থী আহত হয়।
এ ছাড়া বুধবার ওকলাহোমার টুলসায় অস্ত্রধারী এক ব্যক্তি হাসপাতালে ঢুকে গুলি চালিয়ে ৪ জনকে হত্যার পর নিজেও আত্মহত্যা করেন।
পরদিন বৃহস্পতিবার উইসকনসিনের রেসিনে এক সমাধিস্থলে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগদানকারীদের ভিড়ে গুলি চালানো হয়। এতে দুইজন আহত হন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.