মেয়র পদপ্রার্থী এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন এর নির্বাচনী ইশতেহার

 

আঃ লীগ প্রতিবেদক: প্রিয় রাজশাহীবাসী, সালাম ও শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন। মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এক নদী রক্তের দামে অর্জিত আমাদের বাংলাদেশ। মানবদরদী সুফী সাধক হয়রত শাহ মখদুম রুপোশ (রহ:) এর শান্তি ও সম্প্রীতীর শিক্ষানগরী রাজশাহীর পূণ্যভূমিতে আগামী ৩০ জুলাই ২০১৮ রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে আমরা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর শহীদ পরিবার পরিজনদের।

স্মরণ করছি বঙ্গবন্ধুর জীবন ও দর্শনের ঘনিষ্ট সহচর জাতীয় চার নেতাসহ ভাষা আন্দোলন, মহান মুক্তিয্দ্ধু, ক্ষুধা দারিদ্র ও সন্ত্রাসমুক্ত গণতান্ত্রিক অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে অগণিত বীর শহীদদের।

বঙ্গবন্ধুর রক্তবন্ধু এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান হেনা ভাই আমাদের শক্তি ও সাহসের প্রেরণা। দেশ ও জাতির মুক্তির প্রশ্নে মাথা নত না করা এই অকুতোভয় নেতার সার্থক উত্তরাধিকার আমাদের আধুনিক রাজশাহীর

 

প্রকৃত রুপকার জননেতা এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। ২০০৮-২০১৩ মেয়াদে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে তাঁর যোগ্যতা ও অঙ্গীকার বাস্তবায়নের প্রমাণ তিনি দিয়েছেন। অন্যদিকে লিটনের হাতে গড়ে ওঠা সুন্দর শান্তিময় আধুনিক রাজশাহী মহানগরীর গদ্য বিদায়ী মেয়রের অযোগ্যতার কারণে আজ গৌরব হারিয়েছে। এটা স্পষ্ট যে, শান্তি,

 

স্থিতীশীলতা ও উন্নয়ন বিনষ্টকারী আগুন সন্ত্রাসী, সাম্প্রদায়িক, জঙ্গিবাদী শক্তি ও গোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের হাতে এই নগর ও নগরবাসী নিরাপদ নয়। তাই আসুন, আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে যোগ্যনেতা এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটনকে জয়যুক্ত করি।

বঙ্গবন্ধু কন্যা বিশ্বমানবতার জননী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ সর্বক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। আসুন, এই অগ্রযাত্রা ও উন্নয়নের ধারবাহিকতা রক্ষার স্বার্থে স্বাধীনতা ও মুক্তির প্রতীক নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আমরা সকলে মিলে আমাদের রাজশাহীকে আবারো বদলে দেই। রাজশাহীর যোগ্য নেতা উন্নয়নের দিশারী ও তারুণ্যের মূর্ত প্রতীক এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটনকে আবারও মেয়র পদে নির্বাচিত করি। ‘নাসমরুম মিনাল্লাহে ওয়া ফাতেহুন কারীব’- বিজয় আমাদের সুনিশ্চিত আল্লাহ আমাদের সহায়।

 

 

রাজশাহী মহানগরীর উন্নয়নের লক্ষ্যে মেয়র পদপ্রার্থী
এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটনের কর্মপরিকল্পনা

১.কর্মসংস্থান
ক. গ্যাস সংযোগের মাধ্যমে গার্মেন্টস শিল্প, চামড়া শিল্প, বিশেষ অর্থনৈতিক জোন প্রতিষ্ঠা ও বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্ক দ্রুত বাস্তবায়ন করে লক্ষাধিক মানুষের নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা।
খ. ঐতিহ্যবাহী রেশম কারখানা ও রাজশাহী টেক্সটাইল মিল্স পূর্ণাঙ্গরূপে চালু করা।
গ. রাজশাহী জুটমিল সংস্কার ও সম্প্রসারণ করা।
ঘ. কৃষি ভিত্তিক শিল্প স্থাপন করা যথা আম, টমেটো, আলু প্রক্রিয়াজাতকরণ ও পাটশিল্প।
ঙ. আত্ম কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষে কুটির শিল্প (এসএমই ফাউন্ডেশনের সহায়তায়) উদ্যোগক্তাদের উৎসাহিত ও সহায়তা করা।

২.শিক্ষা
ক. রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় দ্রুত বাস্তবায়ন করা।
খ. রাজশাহীতে পূর্ণাঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা।
গ. শিক্ষানগরী রাজশাহীতে মান সম্পন্ন নতুন একাধিক বালক ও বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজে স্থাপক করা।
ঘ. রাজশাহীতে পূর্ণাঙ্গ গঙ্গীত, আয়ুর্বেদিক ও ইউনানী চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় স্থাপন করা।
ঙ. রাজশাহী হোমিওপ্যাথিক কলেজ ও হাসপাতাল এর উন্নয়ন ও সম্প্রগারণ করা।
চ. রাজশাহী নগরীতে অবস্থিত সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ ও মান উন্নয়ন করে শিশু শিক্ষা ও ভর্তি সমস্যার সমাধান করা।
ছ. রাজশাহীতে অনগ্রসর বস্তিবাসী ও বিদেশে চাকুরীপেতে আগ্রহীদের জন্য জনশক্তি রপ্তানীমুখী বিশেষ কারিগরি প্রশিক্ষণকেন্দ্র স্থাপন করা।
জ. রাজশাহীতে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে ইংরেজী, আরবি, স্প্যানিশ, চায়নিজসহ বিশ্বের প্রধান প্রধান ভাষা শিক্ষার জন্য সার্টিফিকেট কোর্স চালু করা।
ঝ. ইতোপূর্বে সাবেক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন প্রতিষ্ঠিত ফ্রি ওয়াইফাই জোন পুনরায় চালু করা এবং ক্রমান্বয়ে সমগ্র মহানগরীর নাগরিক কেন্দ্রগুলিকে ফ্রি ওয়াইফাই নেটওয়ার্কের অন্তর্ভূক্ত করা।
ঞ. সম্প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক কলেজে উন্নীত ল্যান্ড সার্ভে ইন্সটিটিউটকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করা।
ট. রাজশাহী মহানগরীতে আগত শিক্ষার্থীদের আবাসিক ও নিরাপত্তা সমস্যা সমাধানে সিটি কর্পোরেশন এর পক্ষ থেকে উদ্যোগ গ্রহণ করা।

৩. স্বাস্থ্য
ক. রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাধীন ১০০০ (এক হাজার)বেডের হাসপাতাল দ্রুততার সঙ্গে বাস্তবায়ন ও চালু করা।
খ. নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং মাতৃসদন স্থাপন করে নগরবাসীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা।
গ. খায়রুজ্জামান লিটন প্রতিষ্ঠিত রাজশাহী শিশু হাসপাতালের নির্মাণাধীন নতুন ভবন এর কাজ দ্রুত শেষ করে চালু করা।
ঘ. প্রায় ৩৫০০ (তিন হাজার পাঁচশত) কোটি টাকা ব্যয়ে প্রস্তাবিত পানি শোধনাগার প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের মাধ্যমে নগরবাসীর জন্য বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করা।
ঙ. বস্তিবাসীর জন্য স্বাস্থ্যসম্মত খাবার পানি, শৌচাগার, ড্রেন, রাস্তা, বিদ্যুৎ সহ অন্যান্য নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধি করে জীবন মানের উন্নয়ন সাধন করা।

৪.আবাসন
ক. নিম্ন আয়ের মানুষদের বসবাসের জন্য বহুতল বিশিষ্ট ফ্ল্যাটবাড়ি নির্মাণ করে সহজ কিস্তিতে মালিকানা প্রদান করা।
খ. বীর মুক্তিযোদ্ধা, সম্মানিত শিক্ষক, আলেম ওলামা ও সাংবাদিকদের জন্য পৃথক আবাসিক এলাকা গড়ে তোলা।

৫.অবকাঠামো
ক. মহানগরীর চতুর্দিকে রিং রোড ও লেক নির্মাণ করা।
খ. নগরীর বিভিন্ন স্থানে প্রয়োজনীয় সংখ্যক গণশৌচাগার স্থাপন করা।
গ. নগরীর অনুন্নত এলাকার রাস্তাঘাট ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন করা।
ঘ. নগরীর বসতবাড়িসমূহে শতভাগ সংযোগ স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা।
ঙ. সিটি কর্পোরেশনের অধীনে প্রজেক্টের আওতায় অসমাপ্ত প্রকল্পগুলি দ্রুত বাস্তবায়ন করা।
চ. যানজট নিরসনে তালাইমারী থেকে সিএন্ডবি মোড়, সাহেব বাজার থেকে নিউমার্কেট হয়ে স্টেডিয়াম, বর্ণালীর মোড় থেকে কামারুজ্জামান চত্বর হয়ে ভদ্রার স্মৃতি অম্লান পর্যন্ত ফ্লাইওভার নির্মাণ ও নগরীর ব্যস্ততম মোড় এবং রেলক্রগিং গুলিতে ওভারপাস নির্মাণ করা।
ছ. হযরত শাহ মখদুম রূপোশ (রহ.) এর মাজার কমপ্লেক্স সহ নগরীর ঐতিহাগিক স্থান গুলির উন্নয়ন করে পর্যটন বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করা।
জ. নগরকেন্দ্রে ভূতপূর্ব ল্যান্ড সার্ভে ইন্সটিটিউটের জায়গায় কেন্দ্রীয় শহীদমিনার ও পূর্ণাঙ্গ সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স স্থাপন করা।
ঝ. নগরীর মসজিদ, মন্দির, গীর্জা, গোরস্থান ও শ্মশান গুলির সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন অব্যাহত রাখা।
ঞ. নগরীর পুরাতন বাজারগুলির আধুনিকায়ন এবং নগরীর সম্প্রসারিত অংশের উপযুক্ত স্থানে বাজার কাঠামো গড়ে তোলা।
ট. প্রতিটি ওয়ার্ডে কমপক্ষে একটি করে খেলাধূলার মাঠ স্থাপন করা।
ঠ. শিক্ষা ও চিত্তবিনোদনে বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটার এর নির্মাণ কাজ দ্রুত সম্পন্ন করে চালু করা।
ড. রাজশাহীতে পূর্ণাঙ্গ টেলিভিশন কেন্দ্র চালু করা।
ঢ. রাজশাহী মহানগরীর জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রস্তাবিত আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত দৃষ্টিনন্দন দুইটি মডেল মসজিদের কাজ দ্রুত বাস্তবায়ন করা।

৬.পরিবেশ

ক. বিশ্বের পরিচ্ছন্ন দূষণমুক্ত শান্তির নগরী হিগেবে খ্যাত শিক্ষানগরী রাজশাহীর গৌরব পুনরুদ্ধার করা।
খ. বৃক্ষ শোভিত রাস্তার ডিভাইডার স্থাপন অব্যাহত রাখা।
গ. নগরীর খাস পুকুর সমূহ উদ্ধার, উন্নয়ন ও সংরক্ষণ করা। প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে পুকুর/দীধি/জলাশয় সংরক্ষণ করা।
ঘ. গ্রীন সিটি খ্যাত রাজশাহী মহানগরীতে ব্যাপক বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী অব্যাহত রাখা।
ঙ. প্রতিটি সরকারি তখন চত্বরে গৌন্দর্য বৃদ্ধিার জন্য নানা প্রকার ফলজ, বনজ ও ঔষধি বৃক্ষ রোপণ করা।
চ. নগরীতে আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও রিসাইকেল প্লান্ট স্থাপন করা।

৭.যোগাযোগ
ক. রাজশাহী-ঢাকা রুটে বিরতিহীন ট্রেন গার্ভিস চালু করা।
খ. রাজশাহী-কোলকাতা ট্রেন গার্ভিস চালু করা।
গ. রাজশাহী বিমান বন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে উন্নীত করা এবং এতদাঞ্চলের উৎপাদিত পণ্য রপ্তানির লক্ষে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা।
ঘ. রাজশাহীর প্রাণ পদ্মানদীকে ক্যাপিটালড্রেজিংয়েল আওতায় নিয়ে আসা।
ঙ. প্রতিটি আন্তনগর ট্রেনে রাজশাহী থেকে কৃষিজাত পণ্য পরিবহনের জন্য ল্যাগেজ ভ্যান যুক্ত করা।
চ. দেশের গুরুত্বপূর্ণ জেলা ও নগরের সঙ্গে সড়ক পথে যোগাযোগ ব্যবস্থা সুগম করার জন্য সংযোগকারী মহাসড়কগুলিকে ৪ লেনে উন্নীত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা।

৮. ক্রীড়া সংস্কৃতি ও নাগরিক কেন্দ্র
ক. রাজশাহী নগরবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি আন্তর্জাতিক টেস্ট ক্রিকেট ভেনু উদ্যোগ গ্রহণ করা।
খ. খেলাধুলার উন্নয়নের জন্য প্রস্তাবিত বিকেএসপি দ্রুত বাস্তবায়ন করা।
গ. নগরীর স্টেডিয়ামগুলি আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উপযোগিতার উপযোগী করে গড়ে তোলা।
ঘ. মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সেকে স্টেডিয়ামসহ পূর্ণাঙ্গ ক্রীড়া কমপ্লেক্স হিসাবে বাস্তবায়ন করা।
ঙ. নগরীতে একাধিক জিমনেসিয়াম ও ইনডোর ক্রীড়া কমপ্লেক্স স্থাপন করা।
চ. নগরীর খেলার মাঠগুলিকে সারাবছর খেলাধূলার উপযোগী করে রাখা সহ খেলাধূলার বিভিন্ন টুর্ণামেন্ট চালু করা।
ছ. নির্মাণাধী সাধারণ গন্থাগার কমপ্লেক্স দ্রুত বাস্তবায়ন করে গ্রন্থাগারটি চালু করা।
জ. নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে বহুমুখী সুবিধাসম্পন্ন নাগরিক কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে যেখানে অডিটোরিয়াম, কমিউনিটি সেন্টার ও ওয়ার্ড কাউন্সিলরের স্থায়ী কার্যালয় থাকবে।
৯.নারী উন্নয়ন
ক. আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষে নারী উদ্যোক্তাদের আইটি ভিত্তিক উদ্যোগ, কুটির শিল্প ও হস্তশিল্প স্থাপন এবং প্রশিক্ষণ কর্মসূচীতে সহায়তা প্রদান করা।
খ. নারী উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রয়ের জন্য পৃথক মার্কেট স্থাপন করা।
গ. নারীর প্রতি সহিংগতা রোধকল্পে ওয়ার্ড ভিত্তিক সামাজিক উদ্যোগ গ্রহণ করে সর্বত্র মা বোনদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

১০. প্রবীণ নাগরিক
ক. নগরীর হাসপাতাসহ সরকারি বেসরকারি সকল দপ্তরে প্রবীনদের জন্য বিশেষ হেলপ ডেক্স স্থাপন করা।
খ. রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের তত্বাবধানে আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত প্রবীণ নিবাস স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা।
১১. প্রতিবন্ধী উন্নয়ন
ক. প্রতিটি শিক্ষাকেন্দ্রে জাতীয় নীতি অনুযায়ী প্রতিবন্ধী বান্ধব পরিবেশ ও অবকাঠামো বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা।
খ. প্রতিটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ও হাসপাতালে প্রতিবন্ধীদের চিকিৎসার জন্য জাতীয় নীতি বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা।
গ. প্রতিবন্ধীদের জন্য পৃথক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন করা।

১২. মুক্তিযুদ্ধ ও ঐতিহ্য সংরক্ষণ
ক. রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন ও পাশর্^বর্তী এলাকার গণকবরসমূহ চিহ্নিত করে স্মৃতিফলক স্থাপন ও সংরক্ষণ।
খ. ইতিহাস ও ঐতিহ্য সংরক্ষণে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সংগঠন এবং নগরীর বিশিষ্ট নাগরিকদের নামে রাস্তাঘাট,মোড় ও স্থাপনার নামকরণ করা।
গ. রাজশাহী কলেজ চত্বরে ৫২’র মহান ভাষা আন্দোলনে নির্মিতদেশের প্রথম শহীদ মিনারটিকে একটি কমপ্লেক্স আকারে গড়ে তোলার জন্য গহীত প্রকল্প দ্রুত বস্তবায়ন করা।
ঘ. রাজশাহী রেলওয়েস্টেশন, বিমানবন্দর চত্বর ও সড়কপথে রাজশাহী মহানগরীর প্রতিটি প্রবেশমুখে বরেন্দ্র অঞ্চলের ইতিহাস ঐতিহ্য ও মুক্তিযুদ্ধের স্মারক স্থাপনে কার্যক্রম গ্রহণ করা।
ঙ. রাজশাহী গিটিতে ইতিহাগে, ঐতিহ্য ও মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক গিটি মিউজিয়াম প্রতিষ্ঠা করা।
চ. ঐতিহাসিক স্থাপনা রাজশাহীর বড়কুঠিকে ঐতিহ্যের স্মারক হিসেবে সংস্কার করে সংরক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণ করা।

১৩. স্বনির্ভর সিটি কর্পোরেশন
ক. নিজস্ব আয়ের উৎস গষ্টি করে বর্তমানে প্রায় শতকোটি টাকা ঋণগ্রস্থ সিটি কর্পোরেশনকে স্বনির্ভর প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা।

১৪. অন্যান্য
ক. মহানগরীর সম্মানিত ইমাম, পুরোহিত ও যাজকদের উৎসব ভাতা পুনরায় চালু করা।
খ. রাজশাহীর শহররক্ষা বাঁধ এবং বাঁধের উপরস্থ ওয়াকওয়ে মেরামত ও সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করা।
গ. রাজশাহী মহানগরীর ক্লিনগিটি ইমেজ পুনরুদ্ধার এবং শহরের ছাত্রছাত্রী ও তরুনদের মধ্যে পরিবেশ গণসচেতনতা সষ্টির জন্য প্রতিটি ওয়ার্ডে তরুদেরকে সংশ্লিষ্ট করে নিয়মিত পরিচ্ছন্নতার অভিযান পরিচালনা করা।
ঘ. পাড়ায় মহল্লায় মাদক বিরোধী সরকারি অভিযানের পাশাপাশি ওয়ার্ড ভিত্তিক গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে গভা, সমাবেশ ও শিক্ষামূলক নাটক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানাদির আয়োজন করা।
ঙ. মাদকাসক্তি নির্মূলে কমিউনিটি পুলিশিং এর কার্যক্রম গ্রহণ করা।
চ. মহানগরীর নাগরিক বৃন্দের মধ্যে সৃজনশীলতা, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও মানবতাবাদী কার্যকলাপকে উৎসাহিত করার জন্য গিটি কর্পোরেশন কর্তৃক সংবর্ধনা ও পদক চালু করা।
ছ.মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের গংবর্ধনা ও পুরস্কৃত করার মাধ্যমে উৎসাহিত করা।
জ.মেয়রের দপ্তর নগরবাগীর জন্য সর্বদা উন্মুক্ত রাখা।
ঝ. সর্বোপরি নগরভবনকে রাজশাহী মহানগরীর প্রাণকেন্দ্ররূপে প্রতিষ্ঠা করা। (প্রেস বিজ্ঞপ্তি#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.