ভেজাল খাদ্যে দেশে প্রতিবছর সাড়ে ৬ লাখ মানুষ রোগাক্রান্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক: ভেজাল খাদ্য খেয়ে দেশে প্রতিবছর বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন প্রায় সাড়ে ৬ লাখ মানুষ। অতি মুনাফা লাভের জন্য একটি অসাধু চক্র খাদ্য ভেজাল দিয়ে জাতিকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। এ থেকে উত্তরণে প্রয়োজন আইনের যথাযথ প্রয়োগ ও জনসচেতনতা সৃষ্টি।
রবিবার (২১ মে)  সকাল ১০টায় রাজশাহী সিভিল সার্জন অফিসের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক কর্মশালায় এসব তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরোর লাইফস্টাইল, হেলথ এডুকেশন এন্ড প্রমোশন শাখার উদ্যোগে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধ শীর্ষক এ কর্মশালার সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিল কনসালটিং ফার্ম ‘গ্লোসি মিডিয়া’।
রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডা. আবু সাইদ মোহাম্মদ ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় বক্তব্য দেন ভাষাসৈনিকপুত্র রাজশাহী প্রেসক্লাব সভাপতি সাইদুর রহমান, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ওমর ফারুক, জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার শাকিল আহমেদ, সিনিয়র স্বাস্থ্য ও শিক্ষা অফিসার মো. শামসুজ্জামান।
কর্মশালায় সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. বায়েজিদুল ইসলামের প্রেজেন্টেশন শেষে উন্মুক্ত আলোচনায় সাংবাদিক আমানুল্লাহ আমানসহ বিভিন্ন রেস্তোরার মালিক-কর্মচারি, এনজিওকর্মী ও ব্যবসায়ীরা অংশ নেন।
কর্মশালায় জানানো হয়, ভেজাল খাদ্য খেয়ে দেশে প্রসূতি মায়ের শারীরিক জটিলতাসহ গর্ভজাত বিকলঙ্গ শিশুসংখ্যা প্রায় ১৫ লাখ। ভেজাল খাদ্যের জন্য দেশে প্রতিবছর প্রায় ৩ লাখ মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন।
এছাড়া দেড় লাখ ডায়াবেটিক এবং ২ লাখ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন কিডনিজনিত রোগে। উচ্চ রক্তচাপ, হার্টঅ্যাটাক, ব্রেইনস্ট্রোকসহ বিভিন্ন শারীরিক জটিলতা বাড়ছে ভেজাল খাদ্যের প্রভাবে। বিশ্বব্যাপী প্রতি ১০ জনে একজন খাদ্যবাহিত রোগে আক্রান্ত।
বক্তারা বলেন, খাদ্যে ভেজাল ও খাদ্য দূষণরোধে সামাজিক আন্দোলন প্রয়োজন। জনসাধারণের মাঝে ধর্মীয় ভীতি তৈরি করতে হবে। নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩ অনুযায়ী এ অপরাধে ৭ থেকে ১৪ বছর কারাদণ্ড এবং ৫ থেকে ২০ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরসমূহের সক্ষমতা ও জনবল বৃদ্ধি করে আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন ঘটাতে হবে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নিজস্ব প্রতিনিধি আমানুল্লাহ আমান / রাজশাহী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.