বার্লিনে করোনা বিরোধী মিছিল, আটক ১৩০, আহত ৪৫ জন পুলিশ কর্মকর্তা

ছবি: সংগৃহীত

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কায় সতর্ক থাকার সময়ে বার্লিনে হয়ে গেল স্বাস্থ্যবিধি না মানা বেপরোয়া এক মিছিল। এ ঘটনায় ১৩০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ। তবে তাদের বিরুদ্ধে আরেও কঠোর ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছে অনেকে।

গত শনিবার করোনাকে ‘বিল গেটসের ষড়যন্ত্র’ বলে স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে বার্লিনের রাস্তায় মিছিল করেছেন অন্তত ২০ হাজার মানুষ।
উগ্র ডানপন্থী, উগ্র বামপন্থী এবং ষড়যন্ত্র তত্ত্বে বিশ্বাসীদের আহ্বানে ব্রান্ডেনবুর্গ গেটের সামনে হওয়া এ মিছিল সরাতে গেলে পুলিশকে বাধা দেয়া হয়। শুরু হয়ে যায় সংঘর্ষ। এতে ৪৫ জন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হন। তিনজনকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছে।
এক বিবৃতিতে বার্লিন পুলিশ জানায়, আয়োজকরা মোট এক হাজার মানুষের সমাবেশের অনুমতি নিলেও সমাবেশে অংশ গ্রহণ কারীর সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়ে যায়।
সমাবেশস্থল থেকে পুলিশের কাজে বাধা দেয়া, শান্তিভঙ্গ করা এবং অসাংবিধানিক প্রতীক প্রদর্শনের অভিযোগে ১৩০ জনকে গ্রেপ্তারের কথাও জানিয়েছে পুলিশ।
ইউরোপের বিভিন্ন স্থানে করোনা সংক্রমণ শুরু হয়েছে নতুন করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার স্বার্থে স্বাস্থ্যবিধি মানা দরকার হলেও মাস্ক না পরে, শারীরিক দূরত্ব বজায় না রেখে এমন সমাবেশের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বার্লিনের মেয়র মিশায়েল ম্যুলার।
মধ্য-বামপন্থী দল এসপিডির সাংসদ সাসকিয়া এসকেন মনে করেন, বিক্ষোভকারীরা ‘করোনাইডিয়ট’, অর্থাৎ ‘করোনানির্বোধ’।
বিক্ষোভকারীরা স্বাস্থ্যবিধি না মেনে অন্যের জীবনকেও ঝুঁকির মুখে ফেলছেন, করোনার বিরুদ্ধে জার্মানির অর্জনকে তারা নষ্ট করে দিচ্ছে- এমন অভিযোগ তুলে তাদের কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন তিনি।
জার্মানির অর্থমন্ত্রী পেটার আল্টমায়ারও মনে করেন, স্বাস্থ্যবিধি অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেয়া উচিত। এদিকে গত শনিবার স্বাস্থ্যবিধি না মেনে করোনা বিরোধী সব ব্যবস্থার বিরুদ্ধে বিক্ষোভের বিরোধিতাও হয়েছে। ডয়চে ভেলের প্রতিনিধি লেয়নি ভন হামারস্টাইন জানান, সেই সমাবেশে সবাই মাস্ক পরেছেন, সামাজিক দূরত্বও বজায় রেখেছেন। (সূত্র: ডয়চে ভেলে)। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.