বাগমারায় অগ্নিকান্ডে নিহত ১ আহত ৩, দশলক্ষাধিক টাকার ক্ষতি

 

 

বাগমারা প্রতিনিধি : রাজশাহীর বাগমারায় পল্লী বিদ্যুতের শক সার্কিটের আগুনে একজন নিহত ও তিনজন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে বাগমারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। অগ্নিকান্ডে প্রায় দশ লাক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে স্থানী চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান রঞ্জু জানিয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে যায়, গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে উপজেলার গনিপুর ইউনিয়নের লাউপাড়া গ্রামের কৃষক কাশেম ঠাকুরের বাড়িতে বিদ্যুতের শক সার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়। অগ্নিকান্ডে বাড়ির আসবাবপত্র, কাপড় চোপড়সহ সব পুড়ে ছাই হয়ে যায়। অগ্নিকান্ডের সময় কাশেম ঠাকুর বাড়িতেই অবস্থান করছিলেন।

কাশেম ঠাকুর অগ্নিদগ্ধ হলে তার স্ত্রী তাকে উদ্ধারের জন্য এগিয়ে গেলে সেও আগুনে পুড়ে যায়। আগুনের লেলিহান শিখা মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়লে এলাকার লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে আগুন নিভানোর চেষ্টা করে। ততক্ষণে পুরা বাড়ি পুড়ে ছায় হয়ে যায়। খবর পেয়ে গনিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান রঞ্জু ঘটনারস্থলে ছুটে যান এবং আহতদের উদ্ধার করে বাগমারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করেন।

চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান রঞ্জু বলেন, অগ্নিকান্ডে কৃষক কাশেম ঠাকুরের প্রায় দশলাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। অপর দিকে রাত পোনে ৯ টার দিকে উপজেলার যোগীপাড়া ইউনিয়নের ডোগলপাড়া গ্রামের আব্দুল হান্নান (৪০) তার শিশুপুত্রকে নিয়ে বাজার থেকে বাইসাইকেল যোগে বাড়ি ফিরছিলেন। রাস্তার মধ্যে হঠাৎ পল্লী বিদ্যুতের তার ছিড়ে তার গায়ে পড়ে আগুন ধরে যায়।

স্থানীয় লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে বাগমারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। চিকিৎসক আব্দুল হান্নানকে মৃত ঘোষনা করেন। শিশুটি অবস্থায় আশংকাজনক হওয়ায় রাতেই শিশুটিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। স্থানীয় লোকজন বিদ্যুতের এমন ঘটনার জন্য পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তাদের দায়ী করেছেন্।

স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তাদের গাফলতির কারণেই বার বার এমন প্রাণহানীর ঘটনা ঘটছে। এ ব্যাপারে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি তার ব্যবহৃত মুঠোফোনটি রিসিভ করেনি।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.