বাংলার কৃষকরাই বাংলাদেশের সত্যিকারের নায়ক : ইউজিসি চেয়ারম্যান

রাবি প্রতিনিধি: ‘বাংলাদেশের যদি নায়ক বাছাই করতে হয়, আমি বলবো সেখানে আমি থাকবো না, আপনি থাকবেন না, এখানকার কেউ থাকবে না। থাকবে শুধু বাংলার কৃষকরা। কৃষকরাই বাংলাদেশের সত্যিকারের নায়ক। কারণ পেটে ভাত না থাকলে আপনি যতই আইবিএ, এমবিএ’র ডিগ্রি নিয়ে ঘুরে বেড়ান না কেন, কোন লাভ হবে না। এটাই বাস্তবতা।’

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের (আইবিএ) ‘৫ম গ্রাজুয়েশন সেরেমনি’ অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নান এসব কথা বলেন। আজ শনিবার সকাল ১০টায় ইনস্টিটিউট চত্বরে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অধ্যাপক মান্নান বলেন, বাংলাদেশ এমন একটা অবস্থা থেকে যাত্রা শুরু করেছে যার ভবিষ্যৎ কেউ দেখতে পারে নি। বর্তমানে খাদ্য উৎপাদন চারগুন বেড়েছে। এখন খয়রাতির চাল আমাদের খেতে হয় না। আমরা মানুষের মুখে অন্তত দুই বেলা ডাল-ভাত জোগাড় দিতে পারি। সম্প্রতি দশলাখ টন করে দুই-তিন কিস্তিতে দুইটা দেশকে রিলিফ দিয়েছে। রিলিফ গ্রহণকারী থেকে প্রদানকারীতে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। এসব সম্ভব হয়েছে কৃষকদের দেশ প্রেমের কারণে। দেশ প্রেম ৯০% হতে পারে না। দেশ প্রেম হয় শতভাগ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বিমক সদস্য অধ্যাপক এম শাহ্ নওয়াজ আলী বলেন, আগামীর বাংলাদেশে ব্যবসার ক্ষেত্রে এ ইনস্টিটিউটি নেতৃত্ব দিবে। তরুণ সমাজকে নিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে। উন্নত বাংলাদেশ গড়ার জন্য গ্রাজুয়েটদের জ্ঞান সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

রাবি উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুস সোবহান গ্রাজুয়েটদের উদ্দেশে বলেন, আজকে যে ডিগ্রি নিলেন সেটি খুব একটা বড় বিষয় না। আপনি শিক্ষিত কিনা তা বুঝা যাবে কতটা পরিশিলীত, কতটা পরিমার্জিত, কতটা দেশ প্রেমিক তার উপর নির্ভর করে। আর যে জাতির মধ্যে দেশপ্রেম নেই সে জাতি কখনো এগিয়ে যেতে পারে না। সকলকে দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ হওয়ার আহবান জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য দেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়া ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান আল-আরিফ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক এ কে শামসুদ্দোহা। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এম এ বারী সেখানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী ১২টি ব্যাচের প্রতিটির পরীক্ষায় শীর্ষস্থান অধিকারী ১২ জন স্নাতককে প্রধান অতিথি স্বর্ণপদকে ভূষিত ও উপাচার্য তাদের সনদপত্র প্রদান করেন। অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এক্সিকিউটিভ এমবিএ, এমবিএ ইভিনিং, এমবিএ ডে ও এমবিএ ফর বিবিএ গ্রাজুয়েটস কোর্সের মোট ৪৩৪ জনকে গ্রাজুয়েশন প্রদান করা হয়। প্রসঙ্গত, ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠিত এই আইবিএ বাংলাদেশে দ্বিতীয় ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর রাবি প্রতিনিধি আহমেদ ফরিদ।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.