পশ্চিমাদের সমালোচনা তোয়াক্কা না করেই দ্বিপাক্ষিক চুক্তিতে চীন-রাশিয়া

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু থেকেই চীন ও রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ভালোভাবে নিচ্ছে না পশ্চিমা দেশগুলো। কিন্তু এসব তোয়াক্কা না করেই রুশ প্রধানমন্ত্রী মিখাইল মিশুস্তিনের বেইজিং সফরে দ্বিপাক্ষিক চুক্তিতে সই করলো দেশ দুটি। বুধবার (২৪ মে) দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির চুক্তি সই হয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
চুক্তিতে দেশ দুটির পারস্পারিক বাণিজ্যিক বিনিয়োগে সহযোগিতা, চীনে রাশিয়ার কৃষিজ পণ্য রফতানি এবং অন্যান্য জায়গায় সহযোগিতা বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে। চুক্তি সইয়ের পর মিশুস্তিন বলেন, ‘আজ চীন ও রাশিয়ার মধ্যে এক অভূতপূর্ব উচ্চপর্যায়ের সম্পর্ক স্থাপন হলো।’
মিশুস্তিনের উদ্দেশে চীনা প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং বলেন, ‘যৌথ সহযোগিতা বাস্তবায়নে রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী চীন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাস্তবসম্মত সহযোগিতা দুই দেশের সম্পর্ককে আরও গভীর করবে।’
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর প্রথমবারের মতো বেইজিং সফরে যান রুশ প্রধানমন্ত্রী মিখাইল। সফরে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সঙ্গে আলোচনা করেন তিনি। চুক্তি সম্পর্কে মিশুস্তিন বলেন, ‘পারস্পারিক স্বার্থের প্রতি সম্মান, যৌথভাবে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতেই এই চুক্তি। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ক্রমবর্ধমান অস্থিরতা ও পশ্চিমাদের চাপ মোকাবিলায় সহায়তা করবে চুক্তিটি।’
সম্প্রতি হিরোশিমার জি-৭ সম্মেলনে ইউক্রেন যুদ্ধ, তাইওয়ান ও দক্ষিণ চীন সাগরের ইস্যুতে চীন ও রাশিয়ার সমালোচনার পরপরই বেইজিং সফরে যান রুশ প্রধানমন্ত্রী। চলতি বছরের মার্চে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং মস্কো সফরে গিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ‘প্রিয় মিত্র’ বলে সম্বোধন করেন।
ইউক্রেন যুদ্ধের দ্বিতীয় বছরে গড়ানোর পর যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞার কারণে চীনা সমর্থন পেতে বেইজিংয়ের দিকে ঝুঁকছে মস্কো। এক্ষেত্রে চীনকে তেল ও গ্যাস দিয়ে সহায়তা করেছে রাশিয়া, বিনিময়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মস্কোকে সমর্থন করেছে বেইজিং। (সূত্র: রয়টার্স)। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.