পলাশবাড়ীতে সোনালী ও জনতা ব্যাংক চত্বর থেকে দু’টি মোটর সাইকেল চুরি সংঘটিত।। চোর আটক 

গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে আজ সোমবার প্রায় একই সময় দুপুর আড়াইটার দিকে সদরের সোনালী ব্যাংক লিমিটেড ও জনতাব্যাংক লিমিটেড পৃথক চত্বর থেকে দু’টি মোটরসাইকেল চুরি সংঘটিত হয়েছে।
তন্মধ্যে জনতাব্যাংক চত্বর থেকে স্থানীয়রা এক চোরকে হাতেনাতে আটক করে উদ্ধারকৃত মোটরসাইকেলটিসহ থানায় সোপর্দ করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শি ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়,উপজেলা পরিষদ রোডে নছের উদ্দিন সুপার মার্কেটের দ্বিতল ভবনে অবস্থিত সোনালী ব্যাংক লিমিটেড। উপজেলার কিশোর গাড়ী ইউনিয়নের বেঙ্গুলিয়া গ্রামের আলহাজ্ব মকবুল হোসেনের ছেলে আনোয়ারুল তার মোটর সাইকেলটি নিচে রেখে ব্যাংক কার্যালয়ে উঠে সামান্য সময়ের ব্যবধানে আবারো নিচে নেমে আসেন।
এসময় দেখেন নির্দিষ্ট স্থান থেকে তার পরীক্ষামূলক বাজাজ সিডি-১০০ সাইকেলটি চুরি হয়েছে। পরে হন্যে হয়ে সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে সন্ধানের পরও সাইকেলটির আর সন্ধান পাননি।
এদিকে একই সময় সদরের রংপুর-বগুড়া মহাসড়ক ঘেঁষে অবস্থিত জনতাব্যাংক লিমিটেড শাখা চত্বরে মোটরসাইকেলটি রেখে ঢোলভাঙ্গা এলাকার জনৈক ব্যক্তি ব্যাংকের দ্বিতল ভবনে যান। পরে নিচে হৈ-হুল্লোড়সহ সোরগোল শুনে নিচে নেমে দেখেন তার সাইকেলটিই চুরি যাচ্ছিল।স্থানীয়রা সন্দেহবশত: চোরকে হাতেনাতে আটক করে।পরে উদ্ধারকৃত সাইকেলটিসহ চোরকে থানা পুলিশের নিকট সোপর্দ করা হয়।
ধৃত পেশাদার চোর গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার বৈষ্ণবদাস গ্রামের মৃত হাকিম উদ্দিনের ছেলে জামাত আলী(৪৫) আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চুরি সিন্ডিকেটের অন্যতম হোতা বলে জানা যায়।
সাদুল্লাপুরের বৈষ্ণবদাস উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক জামাত আলী এঘটনার আগেও বিভিন্ন স্থান থেকে মোটরসাইকেল চুরিকালে অসংখ্যবার জনতার হাতেনাতে ধরা পড়ে জেলে যায়।বের হয়ে আবারো একই পেশায় জড়িয়ে পড়ে সে।
 বিষয়টি নিশ্চিত করে থানা অফিসার ইনচার্জ মাসুদুর রহমান মাসুদ বিটিসি নিউজকে জানান, তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরসহ যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর গাইবান্ধা প্রতিনিধি মোঃ শাহরিয়ার কবির আকন্দ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.