পদত্যাগ করলেন ট্রাম্প’র প্রতিরক্ষামন্ত্রী

(পদত্যাগ করলেন ট্রাম্প’র প্রতিরক্ষামন্ত্রী)

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে মতবিরোধের জেরে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপার। মার্কিন নির্বাচনে পরাজিত হতে চলেছেন ট্রাম্প এবং দেশটিতে যখন অস্থিতিশীল অবস্থা বিরাজ করছে তখনই পদত্যাগপত্র জমা দিলেন মার্ক এসপার।

fআজ শুক্রবার (০৬ নভেম্বর) মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এনবিসি টেলিভিশন চ্যানেলের এক প্রতিবেদনে তার পদত্যাগের কথা জানানো হয়েছে। বলা হচ্ছে, ট্রাম্পের সঙ্গে মতবিরোধের পাশাপাশি মার্ক এসপারের পুনঃনিয়োগের সম্ভাবনাও ক্ষীণ হয়ে এসেছিল।

এনবিসির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর মন্ত্রিসভার সদস্যরা পদত্যাগ করে নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্টের জন্য পথ সহজ করে দেন। তবে এসপারের বিষয়ে জল্পনা ছিল যে, নির্বাচনের পর ট্রাম্প তাকে বরখাস্ত করতে পারেন। সেক্ষেত্রে এসপার আগেই পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।

এর আগের মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জিম ম্যাটিসও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে মতবিরোধের কারণে পদত্যাগ করেন। এছাড়া, মার্কিন প্রশাসনের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ আরও অনেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পদত্যাগ করেছেন কিংবা তাদেরকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ট্রাম্পের আমলে যত মন্ত্রী ও শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাকে বহিষ্কার অথবা পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে আমেরিকার ইতিহাসে তা নজিরবিহীন।

এদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ জর্জিয়ায় ড্যামোক্রেটদের প্রার্থী জো বাইডেনের চেয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ১ হাজার ৯০২ ভোটে এগিয়ে আছেন। এখন ওই রাজ্যে ১৬ হাজার ১০৫ ভোট গণনা বাকি আছে। রাজ্যটিতে ১৬টি ইলেক্টোরাল ভোট রয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার (০৫ নভেম্বর) সেখানকার কর্মকর্তারা বলেন, প্রক্রিয়ার কারণে ভোট গণনায় সময় লাগছে।

মার্কিন নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিজয় কেড়ে নিতে তার সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে বলে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ রাজ্যগুলোতে ভোটগণনা যত শেষের দিকে যাচ্ছে, ড্যামোক্র্যাট দলীয় প্রার্থী জো বাইডেন ততই জয়ের দিকে এগোচ্ছেন।

ট্রাম্প বলেন, তারা নির্বাচনের বিজয়কে চুরি করতে চেষ্টা করছে। ভোট শেষ হওয়ার দুদিন পর তিনি এই অস্বাভাবিক মন্তব্য করেছেন। কিন্তু কীভাবে তার বিজয় ছিনিয়ে নেয়া হচ্ছে, তার পক্ষে কোনো প্রমাণ হাজির করতে পারেননি। এমন কি সাংবাদিকদের কাছ থেকে কোনো প্রশ্নও নেননি তিনি। এই জ্বালাময়ী বিবৃতি দিতে তিনি ১৭ মিনিট সময় নিয়েছেন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.