নিজ পরিবারের ষড়যন্ত্রে এক ব্যাংকারের করুন পরিনতি, মানবাধিকার ভুলন্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: বর্তমান ভোগবাদী বিশ্ব ব্যাবস্থায় মানব সমাজ দাবী করে আমরা উন্নয়নের চরম শিখরে অবস্থান করছি।যোগাযোগ ব্যাবস্থা সহ সর্ব ক্ষেত্রে বিশ্ব আমাদের হাতের মুঠোয়। কথাটা হয়ত অনেকাংশে সত্য।কিন্তু উন্নত হওয়ার পাশাপাশি আজ মানব সমাজ হারিয়ে ফেলছে নীতি,নৈতিকতা,মূল্যবোধ,মানবাধিকার।

অসহিষ্ণু হয়ে উঠছে সমাজ,কেউ কারো দিকে তাকানোর সময় নেই। ছুটে চলেছে ঊর্ধ্বমুখী এক মরীচিকার পিছনে। টাকা আর টাকা যে করেই হোক অর্থশালী হতে হবে।

নায়বিচার,মূল্যবোধ,নীতি,নৈতিকতা কে গুলি মারো।ফলে বেড়েছে সামাজিক অনাচার সহ অসুস্থ্য প্রতিযোগিতা।

ব্যাংকার মোঃ এমদাদুল হক এই ক্ষয়ে যাওয়া সমাজের নির্মম পরিণতি র চিত্র।নিজ পরিবারের লোকজন দ্বারা চরম অমানবিক ও বর্বর নির্যাতনের শিকার বাংলাদেশ ব্যাংক রাজশাহীর এ জি এম জনাব মোঃ এমদাদুল হক (৫৮), পিতা মৃত ইসমাইল মন্ডল, গ্রাম:ছোট বন গ্রাম উত্তর পরা,থানা: চন্দ্রিমা,জেলা: রাজশাহী। বর্তমানে সে একটি মিথ্যা নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার শিকার হয়ে দীর্ঘ ২৮দিন জেল হাজতে থাকার পর জামিনে মুক্ত।এবং তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ প্রমাণ হওয়ার আগেই অন্যায় ভাবে চাকুরী থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় তাকে।

অত্র প্রতিবেদন প্রস্তুতকালে দীর্ঘ অনুসন্ধানে জানা যায় ২০/০৪/১৯৮৯ ইং তারিখে তিনি বিয়ে করেন মোসা: মমতাজ বেগম,পিতা মৃত আঃ সালাম, মাতা সুফিয়া, কে এবং তার স্ত্রীকেও  ব্যাংকে চাকুরী নিয়ে দেন ।

সংসার জীবনে তাদের একটি ছেলে মহিদুল হক(২২)ও একটি মেয়ে আইরিন আক্তার (২৬) আছে। মেয়ে পরিবারের লোকজন এর মতের বাইরে গিয়ে একই এলাকার গুন্ডা,মাস্তান টাইপের সেলিম রেজা(৩২),পিতা মনিরুল ইসলাম কে প্রেম করে বিয়ে করে ২০০৮ সালে।এরপর থেকেই অশান্তির শুরু। এমদাদুল হক পিতা হিসেবে আপত্তি করলেও তা ধোপে টেকে নাই বলে জানান
নির্যাতিত এমদাদুল হক ।

আরো জানান,জামাই সেলিম রেজা কিছুই করে না,বেকার,প্রতিদিন তার এক বোতল করে ফেন্সিডিল লাগে,সাথে ইয়াবা ৮/১০ টি।মেয়ের জামাই বেকার থাকায় শ্বশুর বাড়িতে বসবাস করে। এবং আজ এটা করব দাও ৫০,০০০/ টাকা।উক্ত টাকা শেষ হওয়ার আগেই নানান ফন্দি ফিকির করে পুনরায় টাকা দিতে বাধ্য করে। বিভিন্ন ভাবে শ্বশুরকে ফাঁসিয়ে কি ভাবে টাকা বের করা যায়,এটাই তার কাজ। নেশার টাকা আদায়ের জন্য শ্বশুর তার প্রধান টার্গেট।

জনাব এমদাদ সাহেব বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, তার স্ত্রী এক কলিগের সাথে ফাঁকা বাসায় দীর্ঘক্ষণ অবস্থান করেন। এত সবকিছু দেখে বাধ্য হয়ে স্ত্রী মমতাজ বেগম (৪৫) কে গত ১৬/০১/২০১৯ ইং তারিখে বিধি অনুযায়ী তালাক প্রদান করে। যা মমতাজ বেগম ২১/০১/২০১৯ ইং তারিখে প্রাপ্ত হন।

তিনি আরও বলেন তালাকের নোটিশ প্রাপ্তির পর মেয়ে, জামাই ও কলিগের কুপরামর্শ মোতাবেক মমতাজ বেগম গত ১৮/০৩/২০১৯ ইং তারিখে তাকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ আদালতে না: শি: আইনের ১১(গ) ধারায় মামলা দায়ের করেন।

আদালত মামলাটি মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার বরাবর তদন্ত দিলে তদন্ত রিপোর্ট তার অর্থাৎ আসামির পক্ষে আসিলে বাদী নারাজি দরখাস্ত দিলে পুনরায় পি বি আই কে তদন্তভার দেন। তখন সে হজে ছিলেন,তাই তদন্ত রিপোর্ট বাদীর পক্ষে আসে।

মামলাটিতে দেখা যায় আসামী বাঁদিকে ১৬/০১/২০১৯ তালাক দিলে তা বাদি প্রাপ্ত হন ২১/০১/২০১৯ তারিখে। অথচ বাদীর দায়েরকৃত মামলায় ঘটনার তারিখ দেখান ১৮/০২/২০১৯ ইং।

এই বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন এডভোকেট বলেন “তালাক ১৬/০১/২০১৯ আর ঘটনার তারিখ ১৮/০২/২০১৯ ইং” কিভাবে মামলাটি আদালত গ্রহণ করল?যাইহোক আসামী আদালতে হাজির হয়ে জামিন নেন এবং পরবর্তীতে জামিন  বাতিল করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন নারী শিশু ১ আদালত।

অতপর ২৮ দিন হাজত খাটার পর তিনি জামিন পাওয়ার পর বাসায় গেলে তালাক প্রাপ্ত স্ত্রী,জামাই মিলে তাকে শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করে এবং জায়গা জমি দ্রুত পরিবারের সকলকে ভাগ করে রেজিঃ না দিলে তাকে হত্যা করা হবে বলে তাকে হুমকি দেয়।

ইতি পূর্বে এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় দুটি জিডি করলেও কোন কাজ হয়নি। তাই তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডর মেটরী মেসে সিসি টিভি ক্যামেরার আওতায় বসবাস করছেন এবং অত্যন্ত ভীত সন্ত্রস্ত অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন।

তিনি বলেন যাদেরকে খাইয়ে মানুষ করলেন,বাড়ী করলেন সেই বাড়ী থেকে মার খেয়ে মেসে জীবন কাটাচ্ছি এর থেকে বড় ট্রাজেডি কি হতে পারে? এই বিষয়ে বাদী মমতাজ বেগমের বক্তব্য নেয়ার জন্য একাধিকবার তাকে মোবাইল করা হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নিজস্ব প্রতিনিধি মোঃ মাইনুর রহমান (মিন্টু) রাজশাহী।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.