দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গা বালিকা দাখিল মাদ্রাসার রাস্তাটি দখলদারদের কবলে 

দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি: দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গা হাদীকাতুল উলুম বালিকা দাখিল মাদ্রাসার প্রবেশের একমাত্র রাস্তাটি জোরপৃর্বক দখল করে নিয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালী সাদিক আলী গং।
দখলদারদের কবলে পড়ে একমাত্র রাস্তাটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মুখ থুবড়ে পড়েছে মাদ্রাসার শিক্ষা কার্যক্রম। শিক্ষার্থীরা মাদ্রাসার প্রবেশ করতে না পারায় বাড়িতে ফিরে আসতে বাধ্য হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায় দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গা – কুতুবপুর সড়কের পাশে  ১৯৯৪ সালে গড়ে উঠে কার্পাসডাঙ্গা  হাদিকাতুল উলুম বালিকা মাদ্রাসাটি। দীর্ঘ ২৬ বছর যাবৎ মাদ্রাসার যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাটি  প্রবেশের জন্য ব্যবহার করা হতো। হঠাৎ করেই বেঁড়া দিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
কার্পাসডাঙ্গা মাদ্রাসা পাড়ার শওকত আলীর ছেলে সাদিক আলী গং গতকাল শুক্রবার দিনগত রাতে তার দলবল নিয়ে রাস্তার উপরে বাঁশের বেঁড়া  দিয়ে দিয়েছে।
শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা আজ শনিবার সকালে মাদ্রাসায় এসে দেখতে পাই রাস্তাটি বন্ধ। রাস্তাটি বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের বাড়ি যেতে বাধ্য হয়েছে।
১০ শ্রেনীর শিক্ষার্থী তাবাসসুম তামান্না বিটিসি নিউজকে জানান, আমরা ইউনিক আইডি কার্ডের জন্য মাদ্রাসায় এসেছিলাম। এসে দেখি মাদ্রাসার প্রবেশ পথে বাঁশের বেঁড়া। কি কারনে দিয়েছে আমরা বলতে পারবো না। বিধায় আমরা বাড়ি চলে যাচ্ছি।
মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা আব্দুল গফুর বিটিসি নিউজকে জানান, মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা লগ্নে থেকে আমরা এই প্রবেশ পথ দিয়ে আসা  যাওয়া করে আসছিলাম। প্রভাবশালী এক ব্যক্তির ইন্ধনে মাদ্রাসার প্রবেশ পথটি বাঁশের বেঁড়া দিয়ে আটকিয়ে দিয়েছে।
সাবেক সভাপতি নায়েব আলী বিটিসি নিউজকে জানান, মাদ্রাসাটি গড়ে তোলার পিছনে কার্পাসডাঙ্গা মানুষের যথেষ্ট অবদান রয়েছে। হঠাৎ করে প্রবেশ পথে বাঁশের বেঁড়া দিয়ে আটকিয়ে দেয়া অন্যায় হয়েছে।
এ ঘটনায় স্থানীয় সচেতন মহলের সৃষ্টি হয়েছে ক্ষোভের। ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রবেশের একমাত্র রাস্তাটি বন্ধ করে দেয়ায় এলাকায় আলোচনার ঝড় উঠেছে। রাস্তাটি পুন:উদ্ধারের জন্য দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো:আলী মুনছুর বাবু ও স্হানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে সচেতন মহল।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি মোস্তাফিজ কচি। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.