“গাইবান্ধার জনগণের হৃদয়ে একজন সত্যিকারের ভালো মানুষ হয়ে বেঁচে থাকতে চাই” : প্রকৌশলী জনাব আবদুল মান্নান মিয়া

গাইবান্ধা প্রতিনিধি: সেবাই পুলিশের ধর্ম’ – এই শ্লোগানে ওয়াদাবদ্ধ হয়ে একটি বাহিনী গঠিত হয়েছে সেটিই বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী ৷ মানবের মাঝেই আমি বাঁচিবারে চাই ৷ পুলিশ বাহিনীতে যেভাবে মানুষের কাছে থেকে মানব সেবা করা যায় আমার মনে হয় আর কোন পেশা থেকে এমন সেবা দেয়া সত্যিই দূরুহ ৷ উপরোক্ত কথাগুলো বলেছেন গাইবান্ধার পুলিশ সুপার প্রকৌশলী জনাব আবদুল মান্নান মিয়া, এমবিএ(আইবিএ) ৷
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)এর লেখাপড়ার পাঠ চুকিয়ে চাকুরী নেন বাংলাদেশ পুলিশে। পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন আইবিএ থেকে এমবিএ করেন মানবতার কল্যাণে নিয়োজিত এই পুলিশ সুপার ৷
তিনি বলেন, একজন ইঞ্জিনিয়ার হয়েও আমার মনের ভিতরে থাকা লুকানো পুঞ্জিভূত আকাঙ্খার জন্যই আমি পুলিশে চাকুরী নিয়েছি ৷ মানুষের জন্য কাজ করার ইচ্ছাটা ছিল আমার স্বপ্ন, আমার ভালবাসা ৷ আল্লাহ আমার সেই আশা পূরণ করেছেন পুলিশ বাহিনীতে চাকুরী প্রদানের মাধ্যমে ৷
প্রকৌশলী আবদুল মান্নান মিয়া গাইবান্ধায় আসার পর থেকেই তার মেধা মননশীলতা ও কর্মপরিকল্পনা দিয়ে গাইবান্ধার মানুষকে রেখেছেন শান্তিতে ৷
জেলার আইনশৃংখলা পরিস্থিতির উন্নয়ন ও পুলিশের কার্যক্রমকে বেগবান করার জন্য কমিউনিটি পুলিশিং এবং বিট পুলিশিং এর কার্যক্রমকে গতিশীল করেছেন। জেলা পুলিশের পাশাপাশি এর মাধ্যমে নারী নির্যাতন, ইভটিজিং, বাল্য বিবাহ, মাদক প্রতিরোধ, যৌতুক, জুয়া, জমি-জমা সংক্রান্ত ছোটখাট বিরোধ নিষ্পত্তি, ট্রাফিক আইন সম্পর্কে ধারণা দেয়া, জঙ্গি তৎপরতা প্রতিরোধ, অসামাজিক কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণসহ এলাকার সার্বিক আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।
এখানকার মানুষের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন ক্লান্তিহীনভাবে ৷ এ জেলার মানুষকে সেবা দিতে তিনি মাঠে ঘাটে, চরাঞ্চলে ছুটে চলেছেন কখনো নৌকায়, কখনো পায়ে হেঁটে কখনোবা রিক্সায় চড়ে ৷ তিনি গাইবান্ধায় যোগদানের পর থেকে গাইবান্ধা জেলায় সকল প্রকার সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বন্ধ করে ফেলেছেন ৷ আবার অনেকেই ভয়ে এলাকা ছাড়াও হয়েছেন ৷ গাইবান্ধা ছিল নাশকতার প্রধান কেন্দ্রবিন্দু ৷ সাধারণের মানুষের মতে, পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান মিয়ার হস্তক্ষেপে বর্তমানে শান্তির জেলা হিসেবে গাইবান্ধা রয়েছে শীর্ষে ৷
এই মানুষটি বর্তমানে জেলায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু বলা চলে ৷ মহাসড়কে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে পলাশবাড়ী ও গোবিন্দগঞ্জে তার উদ্ভাবিত ‘ড্রাইভারদের জন্য রিফ্রেশমেন্ট’ দূর্ঘটনা প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। সম্প্রতি ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেখে এক অসহায় বৃদ্ধা ভিক্ষুকের ভাতাসহ আবাসনের ব্যবস্থা করে দেন তিনি ৷ এছাড়াও তিনি এ এলাকার অসহায় অনেক মানুষের দুর্দিনে পাশে এসে দাঁড়িয়ে নজির স্থাপন করেছেন ৷
পলাশবাড়ি উপজেলায় সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত কমিউনিটি পুলিশিং সদস্য মজিবর রহমানের পরিবারকে তার নিজস্ব তহবিল থেকে নগদ পঁচাত্তর হাজার টাকা প্রদান করে অসহায় পরিবারটির পাশে এসে দাড়িয়েছেন ৷ সদর থানার আলোচিত তৃষা হত্যার পরিবারসহ দূর্ঘটনায় নিহত পুলিশ সদস্যদের পরিবারকেও উপহার হিসেবে ঈদ সামগ্রী ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন ৷ এছাড়া জেলার শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বলসহ গরম কাপড় বিতরন অব্যাহত রেখেছেন। এমন সুন্দর মহানুভব মানুষটিকে পুলিশ সুপার হিসেবে পেয়ে গাইবান্ধার মানুষ আনন্দিত ৷
পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান মিয়ার এমন চমৎকার মানবতায় এখন এখানকার মানুষ তাকে আলোকিত মানুষ হিসেবে জানেন ৷ পুলিশ বাহিনীতে এমন মানুষ সত্যিই বিরল বলে জেলাবাসী মনে করেন ৷

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর গাইবান্ধা প্রতিনিধি মোঃ শাহরিয়ার কবির আকন্দ।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.