এক বছরের কমিটির তিন বছর সময় পার,  হয়নি নতুন কমিটি

রাবি প্রতিনিধি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ছাত্রলীগ কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে। মেয়াদোত্তীর্ণ এই কমিটি তিন বছর অতিক্রম করে আজ বুধবার (১১ ডিসেম্বর) চার বছরে পা দিলেও হয়নি নতুন কমিটি। কমিটি না হওয়ায় দলীয় শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বারবার।
এদিকে, দীর্ঘদিন মেয়াদোত্তীর্ণ থাকায় নেতাকর্মীদের মধ্যে নেই গঠনমূলক রাজনীতির চর্চা। ছিনতাই, শিক্ষার্থী মারধর, সিট বাণিজ্যের মতো নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছেন অনেক পদধারী  ছাত্রলীগ নেতা। এমতাবস্থায় নতুন কমিটি দিয়ে ছাত্রলীগের এ শাখাটিকে গতিশীল করার দাবি জানিয়েছে পদ প্রত্যাশী নেতারা।
এদিকে নতুন কমিটির ব্যাপারে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বিটিসি নিউজকে বলেন, আমরা ইচ্ছে করলে নতুন কমিটি দিতে পারবো না৷ এটা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের বিষয়।
ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ৮ ডিসেম্বর সম্মেলনের মাধ্যমে গোলাম কিবরিয়াকে সভাপতি ও ফয়সাল আহমেদ রুনুকে সাধারন সম্পাদক করে রাবি ছাত্রলীগের ১৩ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। আংশিক কমিটির প্রায় ছয় মাস পর ২০১৭ সালের ১৮ জুন ২৫১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
সেসময় কমিটিতে অন্তত ১৮ জন বহিষ্কৃত, অছাত্র ও অনুপ্রবেশকারীদের পদ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে। সেই সঙ্গে অভিযোগ ওঠে কমিটিতে প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রদের গুরুত্বপূর্ণ পদে আনা ও ত্যাগী নেতাকর্মীদের পদ বঞ্চিত করার।
ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা বিটিসি নিউজকে বলেন, বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের হল কমিটি দিতে পারে নাই। এতে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে ছাত্রলীগের নেই কোনো নেতৃত্ব। সভাপতি-সম্পাদকের পক্ষ থেকে একেক সময় একেক জনকে দায়িত্ব দিয়ে পরিচালনা করা হচ্ছে হলগুলো। এতে তারা হলগুলোতে বিভিন্ন অনিয়মে জড়িত হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মেয়াদোউত্তীর্ণ কমিটিতে থাকা এক পদ প্রত্যাশী বিটিসি নিউজকে বলেন, বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে অনেক আগেই। কিন্তু এখনও পর্যন্ত নতুন কোনো কমিটি হয়নি। এটা রাবি ছাত্রলীগের ব্যর্থতা বলে আমি মনে করি।
মেয়াদোউত্তীর্ণ কমিটিতে থাকা রাবি ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি কাজী লিংকন বিটিসি নিউজকে বলেন, ছাত্ররাজনীতির ভেতরে একটা পরিবর্তন না আসলে দক্ষ নেতৃত্ব পাওয়া কখনই সম্ভব না। মেয়াদউত্তীর্ণ কমিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন ভাল কাজে জড়িত থাকলেও তারা মাঝে মাঝে এমন সব কর্মকান্ডে জড়িত হচ্ছে যা পুরো ছাত্রলীগের সম্মানহানীর কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই নতুন কমিটি দিয়ে নতুন করে নেতৃত্ব তৈরী করা প্রয়োজন।
এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় বিটিসি নিউজকে বলেন, আমরা প্রত্যেক ইউনিটে মেয়াদোউত্তীর্ণ কমিটি ভেঙে নতুন কমিটি দিতে শুরু করেছি। তারই ধারাবাহিকতায় রাবি ছাত্রলীগের নতুন কমিটি শিগগিরি দিতে পারব বলে আশা করছি।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর রাবি প্রতিনিধি মো: মুজাহিদ হোসেন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.