উজিরপুরে বিভিন্ন রাস্তার বেহাল দশা চরম ভোগান্তিতে মানুষ

উজিরপুর প্রতিনিধি: বরিশালের উজিরপুরের বামরাইলে বিভিন্ন রাস্তার বেহাল দশা। যেন মরন ফাঁদে পরিনত হয়েছে। বামরাইল থেকে ঘন্টেশর পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার পিচ ঢালাই রাস্তাটি নির্মানের পরে ৪ বছর যেতে না যেতেই পিচ উঠে যায় এবং ফেটে চৌচির হয়ে যায়। একটু বৃষ্টি হলেই পানি জমে কাদা ও গর্তের সৃষ্টি হয়।
এতে করে গাড়ী চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। চরম র্দুভোগ পোহাতে হচ্ছে পথচারীদের। এছাড়াও বিকল্প রাস্তা না থাকায় চরম ভোগান্তিতে মানুষ। এছাড়াও ওই রাস্তা দিয়ে পাশ্ববর্তী গৌরনদি ও বাবুগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কয়েক হাজার লোক প্রতিনিয়ত চলাচল করে থাকে। রাস্তার বেহাল দশার কারনে শিক্ষার্থীদের পায়ে হেটে বামরাইল এ.বি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে হচ্ছে।
এদিকে কালিহাতা শরীফ রাইচ মিল টু নতুনবাড়ী পর্যন্ত ২ কিলোমিটার রাস্তা ইটের সলিং হলেও আজ পর্যন্ত পাকা হয়নি। মানিক বাজার সংলঘ্ন বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ হালিম রাড়ীর বাড়ী থেকে শুর করে দক্ষিন কালিহাতা সুলতান শিয়ারীর বাড়ী পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার কাচাঁ রাস্তা রয়েছে।
তা আজ পর্যন্ত ইটের সলিং বা পাকাকরন করা হয়নি। ওই সকল রাস্তার আওতায় রয়েছে কালিহাতা মাহমুদিয়া আলিম মাদ্রাসা,সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও এতিমখানা, ঐতিহ্যবাহী মানিক বাজার, একাধিক মসজিদসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। প্রায় শুনা যায় রাস্তায় পা পিছলে পরে র্দুঘটনার শিকার হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। এমনকী ওই রাস্তাগুলির বেহাল দশার কারনে আগুন লাগলে নিয়ন্ত্রনের জন্য ফায়ার সার্ভিসের টিম ঘটনাস্থল যাওয়ার উপায় থাকেনা। গর্ভবর্তী নারীসহ রোগীরা হাসপাতালে যেতে চরম দুর্ভোগে পরতে হয়।
এ ব্যাপারে কালিহাতা ৩নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আঃ সালাম সরদার বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, রাস্তার বেহাল দশা হয়েছে। কোন কোন রাস্তা পূর্ব থেকেই আজ পর্যন্ত ইটের সলিং ও কাঁচা অবস্থায় রয়েছে। এরমধ্যে বামরাইল টু ঘন্টেশর রাস্তার পিচ ঢালাই ৪ বছর যেতে না যেতেই পিচ উঠে যায় এবং ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। আজ পর্যন্ত তা সংস্কারের কাজ হয়নি।
ভ্যান চালক কালাম সরদার বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান ,আমি ভ্যান চালিয়ে দুমুঠো আহার যোগাই কিন্তু একটু বৃষ্টি হলেই কাঁচা রাস্তায় গাড়ী চালাতে পারিনা। এছাড়ার পিচ ঢালাই রাস্তার পিচ উঠে যাওয়ায় গাড়ী চালাতে খুব কষ্ট হয়। তিনগুন সময় বেশী লাগে। দুই দিন পর পর গাড়ী নষ্ট হয়ে যায়।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ হালিম রাড়ী বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, আমাদের প্রধান সড়কসহ বিভিন্ন শাখা রাস্তাগুলি যেন মরন ফাঁদে পরিনত হয়ে আছে। একমাত্র রাস্তার কারনেই আজো আমরা অবহেলিত হয়ে আছি। যোগাযোগ ব্যবস্থাই উন্নয়নের চাবিকাঠী।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার রাস্তা থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু আমাদের এই ইউনিয়নের একাধিক রাস্তা পূর্বের ন্যায় পড়ে আছে। আজ পর্যন্ত কোন পিচঢালাই বা সংস্কারের কোন কাজ হয়নি। যান্ত্রিক গাড়ি চলতে পারছে না।
যোগাযোগ ব্যবস্থা এতটাই কষ্টকর যা মানুষের ভোগান্তি ছাড়া আর কিছু নয়। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়া ও প্রতিটি এলাকার উন্নয়নে উন্নত রাস্তার কোন বিকল্প নেই। রাস্তা পাকা ও স্বয়ং সম্পূর্ণ থাকলে ব্যবসায়ীরা প্রত্যন্ত এলাকা থকে শহরে সবজি, মাছ, ধান, পাটসহ বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী বাজারজাত করতে পারবে।
ওইসব এলাকার লোকজন উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য এবং অবহেলিত অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য প্রতিটি কাঁচা, আধাপাকা ও ইটের রাস্তা দ্রুত পাকাকরণের দাবী জানিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি কামনা করে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর উজিরপুর প্রতিনিধি আঃ রহিম সরদার। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.