ব্রিটিশ লক্ষ্যবস্তুতে সরাসরি হামলার হুমকি রাশিয়ার

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেন রাশিয়ার ভূখণ্ডে হামলা চালাতে ব্রিটিশ অস্ত্র ব্যবহার করলে যুক্তরাজ্যের লক্ষ্যবস্তুতে হামলার মাধ্যমে প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছে মস্কো।
বৃহস্পতিবার রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা এ হুমকি দিয়েছেন।
জাখারোভা সাংবাদিকদের বলেছেন, এমন পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের ভূখণ্ড এবং এর সীমানার বাইরে ব্রিটিশ লক্ষ্যবস্তুতে হামলা হতে পারে।
এর আগে চলতি মাসের শুরুতে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন জানান, ইউক্রেন চাইলে রাশিয়ার ভেতরে হামলার জন্য ব্রিটিশ অস্ত্র ব্যবহার করতে পারবে। তার এমন ঘোষণার পরই কড়া প্রতিক্রিয়া দেখায় মস্কো। এমনকি সদ্য শুরু করা পারমাণবিক মহড়ার অন্যতম কারণ হিসেবে ক্যামেরনের এ বক্তব্যকে সামনে নিয়ে আসেন পুতিন।
ইউক্রেন যুদ্ধ ঘিরে দীর্ঘ দিন ধরে পশ্চিমাদের সঙ্গে রাশিয়ার উত্তেজনা বিরাজ করছে। সম্প্রতি পশ্চিমা কয়েকটি দেশের নেতাদের হুমকি-ধমকির জেরে এই উত্তেজনার পারদ আরও বেড়েছে।
চলতি মে মাসের শুরুতে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ জানান, কিয়েভ অনুরোধ করলে তার দেশ ইউক্রেনে স্থল সেনা পাঠানোর বিষয়ে বিবেচনা করবে। তার এমন ঘোষণার পর যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ইউক্রেন চাইলে রাশিয়ার ভেতরে হামলার জন্য ব্রিটিশ অস্ত্র ব্যবহার করতে পারবে।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বধীন ন্যাটো জোটের দুই দেশের নেতার এমন বক্তব্য ভালোভাবে নেয়নি মস্কো। রুশ কর্মকর্তারা এই বক্তব্যের নিন্দা জানানোর পাশাপাশি পাল্টা জবাব দেয়ার হুমকি দেন।
রাশিয়া দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছে, ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যরা ইউক্রেন যুদ্ধে তাদের সৈন্য পাঠালে পশ্চিমা এই জোটের সঙ্গে যুদ্ধ অনিবার্য হয়ে উঠবে। এ ছাড়া ২০২২ সালে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে বার বার পারমাণবিক সংঘাতের ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক করছে মস্কো।
বিশ্বের সবচেয়ে পারমাণবিক শক্তিধর দেশ রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্বের ১২ হাজার ১০০টি পারমাণবিক ওয়ারহেডের মধ্যে ১০ হাজার ৬০০টি এই দুই দেশের হাতে রয়েছে। এ ছাড়া তৃতীয় বৃহত্তম পারমাণবিক অস্ত্রের ভাণ্ডার রয়েছে রাশিয়ার মিত্র চীনের কাছে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.