আদমদীঘিতে কাঁচা মরিচের কেজি ৮৫, ফুটেছে কৃষকের মুখে হাসি

আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি: গত কয়েক দিনের দরপতনের পর বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় হাঠাৎ করেই কাঁচা মরিচের দাম প্রতিকেজি ৮৫ টাকার দরে বিক্রি হওয়ায় কৃষককের মুখে ফুটেছে হাসি। কয়েকদিন আগে কৃষকরা হাটবাজারে মাত্র ১০/১২ টাকা কেজিতে কাঁচা মরিচ বিক্রি করে হতাশা নিয়ে ঘরে ফিরলেও আজ শনিবার সকালে পাইকারি বাজারে হঠাৎ কাঁচা মরিচের দাম বেশি পাওয়ায় তারা খুব খুশি। এ রকম দাম পেলে মরিচ চাষীরা মহা আনন্দে মরিচ চাষে আগ্রহি হয়ে উঠবেন বলে চাষীরা জানান।

আদমদীঘি উপজেলার কোমারপুর, মঙ্গলপুর, জিনইর, কাশিমালা, শিবপুর, কড়ই, সালগ্রাম, আমইল, তেতুলিয়া, ছাতিয়াগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় বর্ষা মৌসুমে ৫শতাধিক বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করা হয়। বিগত বছরের তুলনায় এবার মরিচ চাষের পরিমান বেশী।

এখানকার মরিচ ঢাকা চট্রগ্রাম সিলেট কক্স্রবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়ে থাকে। গত এক সপ্তাহ আগেও আদমদীঘি উপজেলার সর্বত্র হাটবাজার গুলোতে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বেচাকেনা হয়েছে মাত্র ১০ থেকে ১২ টাকা কেজিতে। এতে মরিচ চাষীরা হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছিলেন।

আজ শনিবার উপজেলার হাটবাজার গুলোতে হঠাৎ করেই সেই মরিচ পাইকারি বেচাকেনা হচ্ছে ৮০ টাকা থেকে ৮৫ টাকা কেজিতে। আর খুচরা বাজারে বিক্রি চলছে ৯৫ টাকা থেকে ১শ টাকা কেজি। মরিচ পাইকার রোস্তম আলী ও উজ্জল হোসেন জানায়, তারা ৮০ থেকে ৮৫ টাকা কেজি কাঁচা মরিচ কিনে চট্রগ্রাম, ঢাকা, কক্্রবাজারসহ দেশের বিভিন্ন জেলার মোকামে সরবরাহ করে থাকেন।

বাজারে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় এবং মোকাম গুলোতে কাঁচা মরিচের দাম বেশি হওয়ায় চড়া দামে মরিচ কিনতে হচ্ছে। আমইল গ্রামের মরিচ চাষী জাহাঙ্গীর আলম জানায়, এবার মরিচের ফলনও হয়েছে বাম্পার। এক সপ্তাহ আগে ১০ থেকে ১২ টাকা কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি করেছি। এখন সেই মরিচ ৮০ থেকে ৮৫ টাকা কেজিতে বিক্রি করতে পারায় আমরা খুব খুশি।

মরিচ ব্যবসায়ীরা বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানায়, আদমদীঘি প্রতি সপ্তাহের হাট বারের দিন এলাকা থেকে কক্সবাজার, সিলেট, কুমিল্লা, চট্রগ্রাম রিয়াজ উদ্দিন বাজার, ঢাকার কাওরান বাজার, মিরপুর, চৌরাস্তাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রায় চার হাজার মন কাঁচা মরিচ ট্রাকযোগে সরবরাহ করা হয়ে থাকে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি মো: হাফিজার রহমান। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.