আটকে গেল সাবিরার দণ্ড স্থগিতের আদেশ

ঢাকা প্রতিনিধি: আজ শনিবার বিচারিক আদালতের দেয়া সাজা কিংবা দণ্ড স্থগিত হলে দণ্ডিত ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন, হাইকোর্টের এ আদেশ স্থগিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত।

আজ সকালে চেম্বার আদালতের বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে তিনি আবেদনটির বিষয়ে আগামীকাল রোববার আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে চূড়ান্ত শুনানির দিন নির্ধারণ করেন।

এই আদেশের ফলে সাজা কিংবা দণ্ড স্থগিত হলেও যে কোনো ব্যক্তির নির্বাচনে অংশ নেয়ার পথ বন্ধই রয়ে গেল বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

আদালতে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে করা আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. বশির উদ্দীন প্রমুখ।

দণ্ডিত যশোর-২ আসনে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী সাবিরা সুলতানার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট এজে মোহাম্মদ আলী, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, আমিনুল ইসলাম প্রমুখ। আর দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এবিএম বায়েজিদ ও খুরশীদ আলম খান।

এর আগে গতকাল শুক্রবার বিচারিক আদালতের দেয়া সাজা স্থগিত হলে দণ্ডিত ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন বলে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

গত ২৯ নভেম্বর ঝিকরগাছা উপজেলার চেয়ারম্যান সাবিরা সুলতানার সাজা ও দণ্ড স্থগিত করে আদেশ দেন হাইকোর্টের বিচারপতি মোহাম্মদ রইচ উদ্দিনের একক বেঞ্চ।

চলতি বছরের ১২ জুলাই মিথ্যা তথ্য ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় সাবিরা সুলতানাকে ঢাকার বিশেষ আদালতের বিচারক শহিদুল ইসলাম তিন বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেন।

রায়ে সাবিরা সুলতানার ১ কোটি ৭৮ হাজার ১৩৫ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করারও আদেশ দেয়া হয়।

এরপর ১৭ জুলাই ঢাকার বিশেষ জজ-৭ এর বিচারক মো. শহিদুল ইসলামের আদালতে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। আদালত জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তবে সাবিরা সুলতানা গত ৬ আগস্ট হাইকোর্ট থেকে জামিন নেন।

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে সাবিরা সুলতানা তার সাজা ও দণ্ড স্থগিত চেয়ে আবেদন জানালে তার শুনানি গ্রহণে অপারগতা প্রকাশ করেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ।

কিন্তু, নিয়ম অনুসারে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন মামলাটি শুনানির জন্য বিচারপতি মোহাম্মদ রইচ উদ্দিনের একক বেঞ্চে পাঠান। সেই বেঞ্চ সাবিরা সুলতানার সাজা ও দণ্ড স্থগিত করায় নতুন করে বিতর্কের সৃষ্টি হয়।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.