অতিরিক্ত বিল আদায় করতে মৃত ব্যাক্তির নামে ব্যবস্থা নিতে লাল নোটিশ নবীগঞ্জে পল্লী বিদ্যুতের অনিয়ম দুর্নীতিতে বাড়ছে বকেয়া বিলের সংখ্যা

নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি: নবীগঞ্জে পল্লী বিদ্যুতের অনিয়ম দুর্নীেিত অতিষ্ট উপজেলাবাসী। মাসের পর মাস অতিরিক্ত বিল ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে গ্রাহকদের হাতে। এতে করে বাড়ছে বকেয়া বিলের সংখ্যা।
পল্লী বিদ্যুতের খামখেয়ালীপনায় সরকার নিয়মিত রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আর ভোগান্তিতে পড়ছেন সাধারণ গ্রাহকরা। পল্লী বিদ্যুত কর্তৃপক্ষের খামখেয়ালীপনা ও অতিরিক্ত বিল যেন নাভিশ্বাস অবস্থা বিরাজ করছে।
এমন কি অতিরিক্ত বিদ্যুত বিল আদায় করতে মৃত ব্যাক্তির নামে আইনি ব্যবস্থা নিতে ও লাল নোটিশ পাঠাচ্ছে নবীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুত কর্তৃপক্ষ।
আজ মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) দুপুরে আইনি ব্যবস্থা নিতে মৃত ব্যাক্তির নামে আইনি ব্যবস্থা নিতে লাল নোটিশ পাঠায় পল্লী বিদ্যুত। এনিয়ে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা চলছে। এদিকে বিদ্যুতের খুঁটি মেরামতের অজুহাত দেখিয়ে বছরের পর বছর ধরে চলছে লোডশেডিং। এতে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে নবীগঞ্জ উপজেলাজুড়ে।
এ যেন দেখার কেউ নেই! নবীগঞ্জ পৌর শহরের একটি আবাসিক এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হিসাব নং ৩১৭/১৫৩০ গ্রাহকের নাম মোঃ আব্দুর রহিম, ২০২০ সালের জানুয়ারী মাসে বিদ্যুত বিল আসে ৪০৬ টাকা। ফেব্রয়ারী মাসে বিদ্যুত বিলে দেখা যায়, ৩৫৫ টাকা। মার্চ মাসের বিলে তা বেড়ে ৫০৯ টাকা।
এরপর এপ্রিল মাসে শুরু হয় মহামারি করোনা ভাইরাস। আর এই ভাইরাসের কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে পুরো বিশ্ব। বন্ধ হয়ে যায় মানুষের ব্যবসা বাণিজ্য। দেখা দেয় আর্থিক সংকট। এই মহামারি সময় বেপরোয়া বিদ্যুত বিল তৈরী করে নবীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুত কর্র্তৃপক্ষ।
এপ্রিল মাসে একই গ্রাহকের বিদ্যুত বিল ৭৩২ টাকায় যায়। এরপর থেকে ক্রমেই বাড়তে থাকে অতিরিক্ত বিদ্যুত বিলের হার। করোনার প্রকোপের সাথে, সাথে বিদ্যুত বিলের প্রকোপও বাড়তে থাকে। মে মাসের বিদ্যুত বিলে দেখা যায় প্রায় ১৪শ টাকা অতিরিক্ত আসে। একই অবস্থায় ক্রমেই বেড়ে ১৪ হাজার ৭শ ৬৬ টাকা বিদ্যুত বিল হাতে ধরিয়ে দেয়া হয় ওই গ্রাহকের পরিবারে।
সারাদেশে যখন করোনা মহামারি চলছে ঠিক তখনই পল্লী বিদ্যুতের কর্মচারীদের চরম অনিয়ম দুর্নীতি তুঙ্গে হয়। এরকম শতাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে পল্লী বিদ্যুতের বিরুদ্ধে। এতে হতাশা দেখা দিয়েছে উপজেলাবাসীর।
গ্রাহকদের অভিযোগ অতিরিক্ত বিদ্যুত বিল কেন জানতে চাইলে দায়িত্ব থাকা ব্যাক্তিরা বিলের কাগজই ঠিকমত দেখতে চান না। গ্রাহকদের সাথে অশুভ আচরণ করা হয় এমন অভিযোগও রয়েছে।
নবীগঞ্জ পৌর শহরের হিসাব নং ৩১৭/১৫৩০ নং গ্রাহকের পরিবারের লোকজন জানান, করোনার কারণে বিদ্যুত বিল দিতে কয়েক মাস বিলম্ব হচ্ছিল। সরকারের আদেশ মেনে এপ্রিল থেকে কয়েক মাস বাড়ির বাহিরে যাওয়া বন্ধ ছিল।
এসময় আমাদের বিদ্যুত বিল বকেয়া হয়। পরবর্তীতে বিল দিতে গিয়ে দেখা যায়, প্রত্যেক মাসে বিল প্রতি ১৪শ থেকে ১২শ টাকা অতিরিক্ত হয়েছে। আমরা অতিরিক্ত বিদ্যুত বিল নিয়ে নবীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম আলীবর্দি খানের কাছে গেলে অতিরিক্ত বিল দিতেই তিনি বলেন।
এব্যাপারে জানতে চাইলে নবীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম আলীবর্দি খান সুস্পষ্ট কোনো বক্তব্য দিতে পারেনি। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সু-নজর কামনা করছেন গ্রাহকরা।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি মোঃ আলাল মিয়া। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.