বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া অসমাপ্ত কাজ করে চলেছেন শেখ হাসিনা

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। তিনি আমাদেরকে সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। কিন্তু দেশবিরোধী চক্র তাঁর সেই লালিত স্বপ্ন পূরণ হতে দেয়নি। তবে তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষের জন্য পিতার সেই রেখে যাওয়া অসমাপ্ত কাজ নিরলস ভাবে করে চলেছেন।
আজ শনিবার (১১ মার্চ) দুপুরে রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার মোহনপুর সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে র পঁচাত্তর বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
নূর-ই-আলম চৌধুরী বলেন, আমরা সরকারি ভাবে কী পেলাম আর ব্যক্তি গত ভাবে কী পেলাম সেটা বড় কথা নয়। আজকে বহির্বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে। এখন সারা পৃথিবীর মানুষ বাংলাদেশকে চেনে। প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
তিনি বলেন, শেখহাসিনা আবার ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশকে একটি স্মার্ট বাংলাদেশ পরিণত করবেন।
চিফ হুইপ বলেন, আজকে দেশের মানুষ যে সুন্দর ভাবে জীবন-যাপন করছে, তাসম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার জন্য। আজকে ছেলেমেয়েদের প্রয়োজন তাঁর দেখানো স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণের জন্য তৈরি হওয়া। যাতে আমরা আগামীতেবিশ্বের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারি।
নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে নির্বাচন ও গণতন্ত্র শিখতে হবে এটা আমরা মনে করি না। আজকে যারা মানবাধিকারের কথা বলে, তারা ভুলে গেছে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর বিচারের পথ বন্ধ করা হয়ে ছিল; কোথায় ছিল সেদিন মানবাধিকার? কোথায় ছিল সেদিন গণতন্ত্র? সে দিন যুদ্ধাপরাধীদের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বসানো হয়ে ছিল।
এ সময় তিনি রাজশাহী সম্পর্কে বলেন, এখানে আমি প্রথম এসেছি। এখানে আসার পর আমার মনে হলো এখানে কিছুটা শূন্যতা রয়েছে। আর এই শূন্যতার জন্য শুধু রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট, ভবন, অবকাঠামো তৈরি করলে পরিবর্তন আসবে না। পরিবর্তন আনতে হলে দরকার ছেলেমেয়েদের আগামী দিনের জন্য কারিগরি ভাবে দক্ষ করে তৈরি করা। ছেলেমেয়েদেরকে কারিগরি শিক্ষায় গড়ে তুলতে পারলে রাজশাহীর আরও অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব হবে।
অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল শিক্ষার ওপর জোর দেন। শিক্ষা ছাড়া কোনো জাতির ভবিষ্যত নেই উল্লেখ করে তিনি বিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়নে প্রাক্তন ছাত্রদের অবদান রাখা এবং ছাত্রবৃত্তির ব্যবস্থা করে গরিব, অসহায় শিক্ষার্থীদের সাহায্য করার আহ্বান জানান।
উপমন্ত্রী আরো বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষায় প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ করছে। ২০০৪-২০০৫ সালে বিএনপি-জামাতের সময় মূল বাজেটের আকার যত ছিল,তা বর্তমান সরকারের শিক্ষা খাতের বরাদ্দের সমান। এ বিশাল বাজেট ভবিষ্যত দেশ গড়ায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
বর্তমান সরকারের নতুন শিক্ষানীতি তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকার কর্মের মাধ্যমে শিক্ষা অর্জনের ওপর গুরুত্বারোপ করেছে। তিনি প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করে শিক্ষার্থীদেরকে তাঁকে সকল ক্ষেত্রে অনুসরণ করার পরামর্শ দেন । তিনি বলেন, কেউ অন্য দলের বা অন্য মতের হতে পারে; কিন্তু এটা স্বীকার করতে হবে যে, দেশের ১৭ কোটি মানুষের মধ্যে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই।
সংবাদ প্রেরক স্বা/-জনসংযোগ কর্মকর্তা, পিআইডি, রাজশাহী। #

 

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.