ইউক্রেনকে আরও সামরিক সাহায্য

 

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্করুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সতর্কবাণী সত্ত্বেও আমেরিকা, ব্রিটেন ও স্পেন ইউক্রেনকে আরো উন্নত অস্ত্র ও সরঞ্জাম সরবরাহের উদ্যোগ নিচ্ছে ৷
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের উপর দ্রুত নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে৷রাশিয়ার হামলার মুখে ইউক্রেনের প্রতি সংহতির প্রশ্নে ঐক্যের অভাব না থাকলেও সে দেশকে সহায়তার ক্ষেত্রে পশ্চিমা বিশ্বের অবস্থানে স্পষ্ট পার্থক্য দেখা যাচ্ছে ৷
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও পূর্ব ইউরোপের দেশগুলি ইউক্রেনের আত্মরক্ষার অধিকার জোরালো করতে ভারি অস্ত্র ও অন্যান্য সামরিক সহায়তা দিয়ে চলেছে ৷
অন্যদিকে জার্মানি, ফ্রান্স ও ইটালির মতো দেশ এ ক্ষেত্রে কিছুটা সংযত থাকার চেষ্টা করছে ৷ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ এমনকি রাশিয়ার অপমান এড়িয়ে চলার পক্ষে সওয়াল করেছেন ৷ এমনই প্রেক্ষাপটে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন রোববার আবার পশ্চিমা বিশ্বকে সতর্ক করে দিয়েছেন ৷
ইউক্রেনকে দূর পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করলে রাশিয়াও নতুন লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করবে বলে তিনি হুমকি দিয়েছেন ৷ কিয়েভের উপকণ্ঠে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মাধ্যমে রাশিয়া এমন ক্ষমতা দেখিয়ে দিয়েছে বলে পুটিন দাবি করেন ৷
তার মতে, এমন বাড়তি অস্ত্র সরবরাহ করে পশ্চিমা বিশ্ব এই সশস্ত্র সংঘাত দীর্ঘায়িত করাতে চাইছে ৷ এর ফলে ইউক্রেনের সামরিক ক্ষমতারও কোনো পরিবর্তন দেখছেন না পুটিন৷ এমন হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও স্পেন ইউক্রেনকে জন্য আরও উন্নত ও জোরালো ভারি অস্ত্র পাঠানোর উদ্যোগ নিচ্ছে ৷
ওয়াশিংটন ৭০ কোটি ডলার অংকের নিরাপত্তা সহায়তার আওতায় মাঝারি পাল্লার রকেট প্রণালী, হেলিকপ্টার, ট্যাংক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র, রাডার ইত্যাদি অনেক সরঞ্জাম ইউক্রেনে পাঠাচ্ছে ৷
সোমবার ব্রিটেনও সে দেশকে অ্যামেরিকায় তৈরি এমএলআরএস নামের ৮০ কিলোমিটার পাল্লার রকেট প্রণালী সরবরাহ করার ঘোষণা করেছে৷
স্পেনের এল পাইস সংবাদপত্রের সূত্র অনুযায়ী সে দেশ ইউক্রেনে বিমান-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ও লেপার্ড ব্যাটল ট্যাংক পাঠাতে চলেছে ৷ নতুন অস্ত্র সরবরাহের ঘোষণা সত্ত্বেও বাস্তবে সেই সরঞ্জাম যুদ্ধক্ষেত্রে কাজে লাগাতে কয়েক সপ্তাহ সময় লাগবে ৷
একাধিক সামরিক বিশেষজ্ঞের মতে, তার আগেই রাশিয়া ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল জবরদখলের উদ্যোগে সাফল্যের আশা করছে ৷ তবে কিছু অঞ্চলে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর প্রতিরোধের মুখে রাশিয়াকে বেগ পেতে হচ্ছে৷ ব্রিটেনের মূল্যান অনুযায়ীও সেখানে রুশ বাহিনীর অগ্রগতি অত্যন্ত ধীর ৷ জার্মানিসহ একাধিক দেশ ইউক্রেনকে প্রতিরক্ষামূলক সামরিক সরঞ্জাম পাঠানোর উপর জোর দিয়ে এসেছে ৷ অর্থাৎ ইউক্রেনের ভূখণ্ডে রুশ হামলা প্রতিহত করতে সে সব অস্ত্রের উপযোগিতা রয়েছে ৷
সীমানা অতিক্রম করে সরাসরি রাশিয়ায় হামলা চালানোর জন্য সেগুলি উপযুক্ত নয় ৷ আমেরিকা ও ব্রিটেনও ক্ষেপণাস্ত্রের রেঞ্জ বা পরিসর যতটা সম্ভব কম রাখার নীতি মেনে চলছে ৷ অর্থাৎ এখনো ইউক্রেনকে তেমন দূরপাল্লার কোনো ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করা হচ্ছে না, যদিও পূর্বাঞ্চল থেকে কিছু রকেট অবশ্যই রাশিয়ায় আঘাত হানতে পারে ৷ তবে পুতিন কোণঠাসা হয়ে পড়লে পশ্চিমা বিশ্বের এমন সংযম আদৌ গ্রাহ্য করবেন কিনা, সে বিষয়ে সংশয় রয়েছে ৷ #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.