১১ নম্বর রিপণের দৃঢ়তায় কিছুটা লজ্জা বাঁচলো বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: চরম এক লজ্জার মুখে পড়ে গিয়েছিল বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। ৫১ রানে যখন ৯ম উইকেটের পতন ঘটলো, তখন শঙ্কা দেখা দিয়েছিল দলীয় স্কোর ৫৫ কিংবা ৬০ ও পার হবে তো!
কিন্তু ১১ নম্বর ব্যাটার হিসেবে মাঠে নামা রিপণ মন্ডল ইংলিশ বোলারদের কাছ থেকে সত্যি সত্যি সমীহ আদায় করে নিয়েছে। ব্যাট হাতে দারুণ দৃঢ়তা দেখিয়েছেন ডান হাতি মিডিয়াম ফাস্ট। স্পিনার নাইমুর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে শেষ উইকেটে অসাধারণ এক জুটি গড়লেন তিনি।
জুটিটা ৪৬ রানের। তবুও, কিছুটা হলেও লজ্জা তো বাঁচলো বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের! শেষ পর্যন্ত যদিও দলীয় স্কোরকে তিন অংকের ঘরে নিতে পারেননি। তবুও তো, ৯৭ রান পর্যন্ত টেনে নিতে পেরেছেন রিপণ। ৪১ বল খেলে তিনি অপরাজিত ছিলেন ৩৩ রান করে। নাইমুর ১১ রান করে আউট হয়ে গেলেই শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের দৌড়।
৩৫.২ ওভার ব্যাট করে স্কোরবোর্ডে ৯৭ রান তুলতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ। ২৪.২ ওভারে পড়েছিল ৯ম উইকেট। এরপর শেষ দুই ব্যাটার মিলে খেলেছেন ১১ ওভার। ধ্বংসযজ্ঞের মুখে চাট্টিখানি কথা নয়।
ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হিসেবে এমনিতেই সবার সমীহ অর্জন করছিলো বাংলাদেশ। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে এ কেমন শুরু করলো বাংলাদেশের? ইংলিশ বোলারদের তোপের মুখে শুরুতেই চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েবাংলাদেশের যুবারা।
সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিসের ওয়ার্নার পার্কে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। ব্যাট করতে শুরু থেকেই দারুণ ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে টাইগাররা। ইংলিশ বোলারদের সামনে দাঁড়াতেই পারছে না বাংলাদেশের কোনো ব্যাটার।
মাহফুজুল ইসলাম এবং আরিফুল ইসলাম ইনিংস ওপেন করতে নামেন। কিন্তু ৬ রানের জুটি গড়েই বিচ্ছিন্ন হন দু’জন। ১৭ বলে ৩ রান করে বিদায় নেন মাহফুজুল। এরপর ১৬ বলে ৪ রান করা আরিফুলও আউট হয়ে যান। প্রান্তিক নওরোজ নাবিল মাঠে নেমে ১২ বল খেলে কোনো রানই করতে পারেননি।
আইচ মোল্লাহ’ই কেবল দুই অংকের ঘর স্পর্শ করেন। তিনি আউট হন ১৩ রান করে। উইকেটরক্ষক ব্যাটার মোহাম্মদ ফাহিম ১ রান করে রানআউট হয়ে যান। আশিকুর জামান আউট হন ৯ রান করে এবং ৫০ রানের মাথায় ৭ম ব্যাটার হিসেবে আউট হন আবদুল্লাহ আল মামুন।
৮ম ব্যাটার হিসেবে ব্যাট করতে নেমে অধিনায়ক রাকিবুল হাসান আউট হন শূন্য রানে। তার আগে ব্যাট করতে নামা এসএম মেহেরব করেন ১৪ রান। শেষ উইকেট জুটিতে ৪৬ রান যোগ করে নাইমুর আর রিপণ মন্ডল বাংলাদেশকে পৌঁছে দেন ৯৭ রানে।
ইংল্যান্ডের হয়ে জসুয়া বয়ডেন নেন ৪ উইকেট। ২ উইকেট নেন থমাস অসপিনওয়াল। ১টি করে উইকেট নেন জেমস সেলস, ফতেহ সিং এবং টম প্রেস্ট। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.