চীনকে ওভার ক্যাপাসিটির অভিযোগ করা ঠিক না : ব্লুমবার্গ

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ব্লুমবার্গ মিডিয়া গ্রুপের ওয়েবসাইট সম্প্রতি ‘দ্য উইন্ড ব্লোস, বাট অনলি ইন চায়না’ শিরোনামে একটি নিবন্ধ প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়, গত কয়েক বছরে বিশ্বব্যাপী বায়ুশক্তি শিল্প মন্দার মধ্যে পড়েছে। সুদের হার এবং বস্তুগত খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায়, লাভের পরিমাণ কমছে এবং রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অভিজাতরা জ্বালানির রূপান্তরে ঢিল দিয়েছে। বায়ুশক্তি শিল্পের মন্দা শুরু হয়েছে।
এ অবস্থায় বায়ুশক্তি পুনরুদ্ধার হচ্ছে প্রধানত চীনের অবদানে। তাই চীনকে ওভার ক্যাপাসিটির অভিযোগ করা ঠিক না। গ্লোবাল উইন্ড এনার্জি কাউন্সিল একটি প্রতিবেদনে বলেছে যে, বিশ্বব্যাপী নতুন বায়ু টারবাইন ইনস্টল করার ক্ষমতা গত বছর রেকর্ড ১১৭ গিগাওয়াটে পৌঁছেছে। আগের বছরের তুলনায়, বৃদ্ধির হার আশ্চর্যজনকভাবে ৫০ শতাংশ পৌঁছেছে। কিন্তু আপনি যদি চীনকে বাদ দেন, তবে গত বছর মাত্র ৪১ গিগাওয়াট নতুন টারবাইন স্থাপন করা হয়েছিল, যা ২০২০ সালের তুলনায় মাত্র ০.০৮৮ গিগাওয়াট বৃদ্ধি পেয়েছে।
চীনের প্রবৃদ্ধি এতটাই দ্রুত যে, মার্কিন অর্থমন্ত্রী জ্যানেট এল ইয়েলেন এবং জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজ গত দুই সপ্তাহে বেইজিং সফর করেছেন। তাদের অভিযোগ চীনের নিম্ন দাম অন্যান্য দেশগুলোর জন্য তাদের নিজস্ব পরিচ্ছন্ন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের জন্য খুব কম জায়গা রেখেছে। তবে, এ ধরনের অর্থনৈতিক সুরক্ষাবাদ একদম ভুল এবং এতে শুধু জ্বালানির স্থানান্তরকে ধীর করে দেবে।
নিবন্ধে বলা হয়, আমরা যদি বিশ্বের জ্বালানি ব্যবস্থাকে নতুন আকার দেয়ার জন্য চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের অভিজ্ঞতা নিতে চাই, তবে আমাদের অবশ্যই এতে বিনিয়োগ করতে হবে। এজন্য একটি বিস্তৃত কৌশল প্রয়োজন যা একটি ধ্বংসাত্মক বাণিজ্য যুদ্ধকে উস্কে দেয়ার পরিবর্তে চীন, যুক্তরাষ্ট্র বা ইউরোপীয় দেশের সরকারের সমর্থনকে স্বাগত জানাবে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.