হিজাব আকর্ষণীয় করতে চান শিখে নিন নানান স্টাইল

 

বিটিসি নিউজ ডেস্ক: যারা হিজাব পরা শুরু করেছে তাদের নতুন অবস্থায় হিজাব পরতে অনেক সমস্যা দেখা দেয়। তাছাড়া বিভিন্ন স্টাইলে হিজাব পরা যায়। হিজাবের মূল অনুষঙ্গ হলো স্কার্ফ। তাছাড়া জামার ওড়না, কিনতে পাওয়া দোপাট্টা দিয়েও অনেকে হিজাব পরে। অনেকে হিজাব পরা পছন্দ করেন। তবে টেকনিক না জানার কারণে তারা সুন্দরভাবে পরতে পারেন না। তাই আজ আপনাদের জন্য হিজাব পরার ক্ষেত্রে দরকারি কিছু টিপস দেয়া হলো।

সব চেয়ে সহজ উপায়ে হিজাব পরা যায় একটা বড় ওড়না, স্কয়ার অথবা তিন কোনা স্কার্ফ নিয়ে মাথায় পরে, ২ সাইড থেকে কোনা নিয়ে এসে গলার উপরে, থুতনির নিচে পিন দিয়ে আটকিয়ে দেয়া। যারা স্টাইলিস্টভাবে হিজাব পরতে চান তারা কনট্রাস্ট হিজাব পরতে পারেন। কনট্রাস্ট হিজাব পরতে গেলে ২ টা মানানসই রঙের হিজাব নিয়ে একটি মাথায় আরেকটি গলার কাস থেকে বাঁধতে হবে, যাতে করে রঙের লেয়ার বোঝা যায়। সাজগোজে অনেকেই অনুরধ করেছে হিজাব পরার আর্টিকেলের জন্য। তাদের জন্য নিচে দুটি স্টাইলের হিজাব পরার বর্ণনা ছবি সহ দেয়া হলো।

১. ওড়না অথবা স্কার্ফ স্টাইল

স্টেপ ১ – প্রথমে একটি স্কার্ফ অথবা ওড়না নিয়ে মাথার উপরে বসাতে হবে। ওড়নার নিচের অংশ ডান সাইড ছোট, বাম সাইড বড় রাখতে হবে ।

স্টেপ ২ – ওড়নার দুই সাইডের কোণা ঘাড়ের পেছনের অংশে নিয়ে পিন দিয়ে ভালো করে আটকাতে হবে।

স্টেপ ৩ – এবার পেছন থেকে ডান সাইডের ওড়নাটা সামনে আনুন।

স্টেপ ৪ – ওড়না ডান সাইড থেকে বাম সাইডে নিন।

স্টেপ ৫ – ওড়নার অংশটি কানের উপরে পিন দিয়ে ভালো ভাবে আটকিয়ে নিন।

স্টেপ ৬ – এবার বাম সাইডে থাকা ওড়নার অংশটি নিন।

স্টেপ ৭ – বাম সাইডের ওড়নার অংশ ওড়নার নিচ থেকে সরিয়ে ডান সাইডে আনুন।

স্টেপ ৮ – ডান সাইডে ওড়না এনে ওড়নার ভাঁজ খুলে ফেলুন। ছবির মত করে।

স্টেপ ৯ – এবার ওড়নার অংশটি উপরে তুলুন।

স্টেপ ১০ – ওড়নার অংশ উপরে তোলার পর হিজাবের প্রধান পার্টটা সামনে আনুন।

স্টেপ ১১ – ওড়নার বড় অংশ টুকু উপরে তুলে চুলের খোপা কভার করে আনতে হবে।

স্টেপ ১২ – প্রথমে কানের যে অংশে পিন লাগানো হয়েছিল, সেই অংশে বড় সাইডের ওড়না এনে বসাতে হবে।

স্টেপ ১৩- কানের উপরে বাকি অংশের ওড়না কে পিন দিয়ে সুন্দর করে সেট করতে হবে।

স্টেপ ১৪ এবং ১৫- দুই ছবিতে হিজাবের ফাইনাল লুক পেছনে এবং সামনের দেয়া হলো।

২. কনট্রাস্ট স্টাইল

স্টেপ ১ – প্রথমে একটি মেয়েদের চুল ঢাকার টুপি (কালার ম্যাচিং জামার সাথে) পরতে হবে। গলায় ছোট (কনট্রাস্ট) স্কার্ফ নিয়ে গলার পেছনে বাঁধতে হবে। তারপর জামার ওড়না মাথার উপরে মধ্যম ভাগে দিতে হবে, যাতে করে নিচের টুপি দেখা যায়। ওড়নার এক সাইড বড় আরেক সাইড ছোট রাখতে হবে।

স্টেপ ২- এবার ওড়নার দুই সাইড নিয়ে গলার পেছনে বাঁধতে হবে।

স্টেপ ৩- এবার ওড়নার ছোট অংশ সামনে আনতে হবে।

স্টেপ ৪- সামনে এনে, অপর প্রান্তের কাঁধে পিন দিয়ে আটকিয়ে দিতে হবে।

স্টেপ ৫ – এবার ওড়নার বড় অংশ সামনে আনতে হবে।

স্টেপ ৬,৭,৮- বড় অংশ টি ভালোভাবে মাথার উপর পেঁচিয়ে, কানের উপরের অংশে পিন লাগিয়ে দিতে হবে।

স্টেপ ৯- এটা হল কনট্রাস্ট স্টাইলে হিজাব পরার ফাইনাল লুক।

ড্রেস অথবা শাড়ির সাথে হিজাব এর কালার ম্যাচিং:

০১. যে রঙের হিজাব সেই রঙের ম্যাচিং স্কার্ফ পরতে পারেন।

০২. যারা কনট্রাস্ট পরতে চান, তারা সাদার উপর কালো হিজাব অথবা গোলাপির উপর হলুদ হিজাব। এভাবে কনট্রাস্ট করে পরতে পারেন।

০৩. তাছাড়া জুতা, ব্যাগ অথবা পাজামার রঙের সাথে মিলিয়েও হিজাব পরতে পারেন।

০৪. দিনের বেলা হালকা রঙের হিজাব পরবেন।

০৫. পার্টিতে গেলে এমন হিজাব পরবেন যেটা খুব ভালো ভাবে ম্যানেজ করা যায়। এমন হিজাব পরবেন না যেটা ফুলে থাকে, অথবা ফেসে যায়, অথবা সিনথেটিক।

০৬. যদি শাড়ির সাথে হিজাব পরেন, তাহলে ব্লাউজ এর গলা ছোট দিবেন। এমন ভাবে হিজাব পরবেন যাতে করে শুধু গলার নিচ পর্যন্ত ঢাকে। আর বাকিটা শাড়ি এবং ব্লাউজ দিয়ে কভার করবেন।

হিজাবের দরদাম:

সবচেয়ে ভালো হিজাব পাওয়া যায় চাঁদনী চক, নিউ মার্কেট, বায়তুল মুকারাম মসজিদ, বশুন্ধারা মার্কেট, মগবাজার বোরখার মার্কেট। দাম একেক টার একেক রকম। ১৫০ থেকে শুরু করে ২৫০০ টাকা দামের হিজাব পাওয়া যায়। কিন্তু দরদাম করে কেনাই ভালো। তাছাড়া রেডি হিজাব পাওয়া যায়। এসবের দাম ৪০০-১২০০। আশা করি পোস্টটি ভালো লাগবে।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.