হবিগঞ্জে অস্থিতিশীল চালের বাজার, বস্তা প্রতি দাম বেড়েছে ২৪০ টাকা


হবিগঞ্জ প্রতিনিধি: হবিগঞ্জে দিনদিন অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে চালের বাজার। পাইকারি ও খুচরা বাজারে চালের দাম বেড়েই চলছে। সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারি বাজারে মোটা ও চিকন চালে কেজিতে তিন থেকে চার টাকা এবং খুচরা বাজারে পাঁচ থেকে ছয় টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে।

ধান-চাল ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে আমদানি কম থাকায় ধানের দাম বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে। যার প্রভাব পড়েছে চালের বাজারে।

এক সপ্তাহ আগে কাটারিভোগ চাল ৫৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। সেই চাল এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজিতে। ফলে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তদের জন্য চাল কেনা কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।

চালের বাজারের ব্যবসায়িদের থেকে জানা যায়, এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রকার ভেদে চালের দাম পাঁচ থেকে ছয় টাকা বেড়েছে। এই কয়দিনে কেজি প্রতি স্বর্ণা-৫ জাতের চাল ৪২ টাকা থেকে বেড়ে ৪৬ টাকায়, আটাশ ৪৮ থেকে ৫২ টাকায়, জিরাশাইল ৫২ থেকে ৫৬ টাকায়, কাটারিভোগ-সম্পাকাটারি ৫৬ টাকা থেকে ৬০ টাকায় এবং আতপ চাল ৮০ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

শহরের পৌর গরুর বাজার এলাকার রিকশাচালক আহমদ আলী জানান, এক সপ্তাহের মধ্যে মোটা চালের দাম চার থেকে ছয় টাকা বেড়েছে। ফলে চাল কিনতে তাদেরকে হিমশীম খেতে হচ্ছে। চালের দাম স্থিতিশীল রাখতে সরকার পদক্ষেপ চান তিনি।

রাজনগর এলাকার বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের চাকুরজীবি মো. ফিরুজ মিয়া বলেন, ‘করোনার কারণে দীর্ঘ সময় বেকার ছিলাম। তখন প্রচুর ঋণ হয়েছে। এখন আবার সবধরণের দ্রব্যমূল্যের অতিরিক্ত দাম। বিশেষ কওে চালের দাম হু হু কওে বেড়ে চলেছে।’

পাইকারি ব্যবসায়ীদের পরামর্শ, শুল্ক কমিয়ে বেসরকারি খাতে পর্যাপ্ত চাল আমদানি করতে পারলে বাজার স্থিতিশীল হতে পারে। অন্যতায় প্রতিনিয়ত আরও অস্থিতিশীল হবে চালের বাজার।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর হবিগঞ্জ প্রতিনিধি মোঃ জুনাইদ চৌধুরী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.