স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পঞ্চগড়বাসী

পঞ্চগড় প্রতিনিধি:  পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলায় শ্রমিকের বড় একটি অংশ পাথর ভাঙ্গার কাজের সাথে জড়িত। কিন্তু স্বাস্থ্য সম্পর্কে মালিক ও শ্রমিক কেউই সচেতন না থাকায় ধুলোবাহিত ভয়াবহ রোগ ও স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েছে হাজারো শ্রমিক ও সাধারন মানুষ।

গত ( ১৭/১৮ মে) সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে ,জগদল থেকে শুরু করে বাংলাবান্ধা পর্যন্ত সড়কের দু’পাশে, দেবীগঞ্জের ভাউলাগঞ্জে,সদরের ধাক্কামারা এলাকায় যত্রতত্র চলছে পাথর ভাঙ্গার ক্র্যাশিং মেশিন।

এসব মেশিন থেকে নির্গত হয়ে ধুলোবালি নাক দিয়ে শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে শরীরের ভিতরে ঢুকে পড়ায় নানা রোগ বালাই নিয়ে প্রতিনিয়ত ডাক্তারের শরনাপর্ণ হতে হচ্ছে শ্রমিকদের।

এক্ষেত্রে পাথর ভাঙ্গা মেশিনে কাজ করার সময় মুখে মাকস ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। জেলার খনিজ সম্পদ পাথর শিল্পের সঙ্গে প্রতক্ষ্য ও পরোক্ষভাবে জড়িয়ে আছে তেঁতুলিয়া উপজেলার দেড় লাখেরও বেশি মানুষ।

এমন অনেকেই আছেন যাদের জীবিকার পুরোটাই পাথরের উপর নির্ভশীল । কিন্তু পাথর উত্তোলন ও পাথর ভাঙ্গার জন্য সুষ্ঠু পরিবেশ ও পরিকল্পনা না থাকায় স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে পাথর শ্রমিকের বিরাট অংশ। যাদের অধিকাংশই নারী শ্রমিক।

পাথর ভাঙ্গার কাজে যুক্ত রয়েছেন প্রায় লক্ষাধিক দরিদ্র শ্রমিক। মেশিনের মাধ্যমে পাথর ভাঙ্গার সময় ভাঙ্গা পাথরের গুড়ো ও ধুলোবালি নির্গত হয়ে চারপাশে ছেয়ে যায় এতে ক্ষতিগ্রস্থ হয় সাধারন মানুষ ও শ্রমিক।

আর এসব ধুলোবালির মধ্যেই কাজ করতে হয় শ্রমিকদের । সারাদিন কাজ করার পর রাতে মাথা ব্যাথা , সর্দি, শ্বাস কষ্ট, কাশি, ক্ষুদাহীনতা ও নিদ্রাহীনতায় ভোগেন অনেক শ্রমিকরা।

বাংলাবান্ধা এলাকার নারী শ্রমিক সুফিয়া বিটিসি নিউজকে বলেন, পাথর ভাঙ্গার মেশিনে কাজ করে বাড়ি ফিরে রাতে ঠিক মত ঘুমাতে পারি না। কাশি ও শ্বাস কষ্টের কারণে।

ভজনপুর এলাকার নারী শ্রমিক আছিয়া বেগম বিটিসি নিউজকে জানান, আমরা গরিব মানুষ এই কাজ করলে ভালো অংকের টাকা পাওয়া যায় তাই কষ্ট হলেও কাজ করি।

পঞ্চগড়ের সিভিল সার্জন ডা: মোহাম্মদ নিজাম উদ্দীন বিটিসি নিউজকে জানান, পাথর ভাঙ্গার মেশিন থেকে নির্গত হওয়া ধুলোবালি স্বাস্থের জন্য খুবই ক্ষতিকারক।

শ্রমিকের অনেকেই দীর্ঘ দিন কাজ করার পর শ্বাসকষ্ট ,সর্দি-জ্বর সহ জটিল রোগে আক্রান্ত হয়। আমাদের ভ্র্যাম্যমান স্বাস্থ্যসেবা ক্লিনিক দিয়ে নিয়মিত চিকিৎসা ও পরামর্শ দিয়ে আসসি।

পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এহেতেশাম রেজা বিটিসি নিউজকে বলেন,জেলা পরিষদসহ একটি প্রকল্প গ্রহনের আলোচনা চলছে ।

সেখানে সব পাথর ভাঙ্গার ক্র্যাশিং মেশিন নিদিষ্ট এলাকার মধ্যে আনা হবে।

 সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর পঞ্চগড় প্রতিনিধি শেখ সম্রাট হোসেন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.