স্থগিতকৃত গাইবান্ধা-৩ আসনে উন্নয়নের কারণেই নৌকার মাঝি ইউনুস আলি এগিয়ে

 

গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ উন্নয়নের কারণেই মহাজোটের তিন প্রার্থীর মধ্যে নৌকার মাঝি ডাঃ মোঃ ইউনুস আলি সরকার এগিয়ে আছেন।। সাধারণ ভোটারের জানান, এখানে ডাঃ ইউনুস আলি এমপি ছাড়া কেউ আসার সম্ভাবনা খুবই কম।  

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্থগিতকৃত গাইবান্ধা-৩ (পলাশবাড়ী- সাদুল্লাপুর)  আসনটি মহাজোট থেকে উন্মুক্ত রাখায় এ আসনে লড়ছেন মহাজোটের ৩ জন সহ মোটে ৫ জন  প্রার্থী। ফলে প্রার্থীজটে বিভ্রান্তিতে পড়েছেন মহাজোটভূক্ত দলগুলোর নেতাকর্মীরা।

এ আসনটিতে ইতোমধ্যে পাঁচ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকলেও মহাজোটভূক্ত তিনটি দলের তিন প্রার্থী ভোটযুদ্ধে মাঠে লড়ছেন। মহাজোটের প্রার্থীরা হলেন- দশম সংসদের এমপি , সাদুল্লাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্থগিতকৃত একাদশ সংসদের নৌকার মনোনীত প্রার্থী  ডাঃ মোঃ ইউনুস আলী সরকার, জাতীয় পার্টি (এরশাদ) কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার দিলারা খন্দকার শিল্পী ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ (ইনু) কেন্দ্রীয় কমিটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এসএম খাদেমুল ইসলাম খুদি।

মহাজোটের পরিচয়ে এই তিন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কারনে তারা এখন একে অপরের প্রতিপক্ষ হয়ে ভোট যুদ্ধে রয়েছেন। এরফলে বিভ্রান্তিতে পড়েছেন মহাজোটভূক্ত দলগুলোর নেতাকর্মীরা। সেইসাথে সাধারণ ভোটাররাও পড়েছেন বিপাকে।

গত শুক্রবার থেকে আজ ১১ জানুয়ারি শুক্রবার পযন্ত  নির্বাচনি এলাকা ঘুরে ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের এমপি ডা. ইউনুস আলী সরকার নির্বাচিত হওয়ার পর এ এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন কাজ সম্পাদন করেছেন।  তাই এ আসনে মহাজোটের একাধিক প্রার্থী থাকলেও ভোটারদের সমর্থনে অনেকটাই এগিয়ে আছেন নৌকা প্রতীক প্রার্থী ডা. ইউনুস আলী সরকার। তারা মনে করেন ডাঃ মোঃ ইউনুস আলি সরকার ছাড়া পলাশবাড়ী- সাদুল্লাপুর আসনে তার মত ভোট কেউ টানতে পারবেন না। আর সে কারণে তাদের পবিত্র  আমানত ভোটটি অন্য কাউকে দিয়ে নস্ট করতে চান না। তাদের দাবী ডাঃ ইউনুসই বিজয়ী হবে, তার পক্ষে গণজোয়ার সৃস্টি হয়েছে। তাই তারা ওপেনে বলছেন তাদের ভোটটা ডাঃ মোঃ ইউনুস আলি সরকারকেই দেবেন। কিছু ভোটার জানান, সরকার যেহেতু আওয়ামী লীগ এমপিও হবে আওয়ামী লীগের। তাহলে উপজেলা দুটির আরোও ব্যাপক উন্নয়ণ কর্মকান্ড হবে।

এদিকে ডাঃ মোঃ ইউনুস আলী সরকারের বিপরীতে মহাজোটের অপর দুই প্রার্থী ব্যারিস্টার দিলারা খন্দকার শিল্পী ও এসএম খাদেমুল ইসলাম খুদি মরিয়া হয়ে উঠেছেন। ভোটের মাঠে কেউই হাল ছাড়তে নারাজ।

অপরদিকে ঐক্যফ্রন্ট সমর্থিত বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থী অধ্যাপক ডা. মইনুল হাসান সাদিক এ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করলেও দলের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেন তিনি। এরফলে ফাঁকা মাঠে গোল দিতে পারে মহাজোট প্রার্থী ডাঃ মোঃ  ইউনুস আলী সরকার। এমনটাই মন্তব্য করছেন কিছু সংখ্যাক ভোটার।

গাইবান্ধা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, এ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ১১ হাজার ৯৪১। এরমধ্যে সাদুল্লাপুর উপজেলায় ২ লাখ, ২৩ হাজার ৬৯৩। পলাশবাড়ী উপজেলায় ১ লাখ, ৮৮ হাজার ২৪৮ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

উল্লেখ্য, ১৯ ডিসেম্বর দিনগত রাতে ঐক্যফ্রন্ট্র প্রার্থীর মৃত্যুজনিত কারণে গাইবান্ধা -৩ আসনটির নির্বাচন স্থগিত করেন নির্বাচন কমিশন। পরে আবার পুনঃ তফশিল ঘোষনা করে ২৭ জানুয়ারি নির্বাচনের দিন ঠিক করে নির্বাচন কমিশন ( ইসি)। #

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর গাইবান্ধা প্রতিনিধি মোঃ শাহরিয়ার কবির আকন্দ।

 

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.