সোয়াতে নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে স্লোগান, পুলিশের অভিযোগ দায়ের

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্কপাকিস্তানের সোয়াতের খাজাখেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়ায় বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ (এফআইআর) দায়ের করেছে পুলিশ। শনিবার খাজাখেলা ‘শান্তি প্রতিবাদ’ এ অংশগ্রহণকারীদের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের করেছে জেলা পুলিশ।
সোয়াত জেলা পুলিশ অফিসার জাহিদ নওয়াজ মারওয়াতের মতে, নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে স্লোগান এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের মানহানির চেষ্টার অভিযোগে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
তারা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের অপব্যবহারও করেছে দাবি করে তিনি বলেন, যারা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের মানহানি করবে তাদের আইনীভাবে মোকাবেলা করা হবে। এই এফআইআরের বিবরণ এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
অভিযুক্ত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের মতে, এমপিওর ১৬ ধারা এবং পাকিস্তান দণ্ডবিধির ৫০৪, ৫০৬, ১৪৯এ, ১২৪এ, ১২৪বি, ইত্যাদি ধারায় অভিযোগটি নথিভুক্ত করা হয়েছে।
এদিকে দেশটির সুশীল সমাজের সদস্যরা পুলিশের এই পদক্ষেপকে ‘অন্যায় ও বেআইনি’ বলে অভিহিত করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তারা বলছেন, ৮ আগস্ট সোয়াত ও দির জেলার সীমান্তবর্তী মাট্টা তহসিলের পাহাড়ে জঙ্গিদের সাম্প্রতিক উপস্থিতির বিরুদ্ধে বিপুল সংখ্যক মানুষ রাস্তায় নেমেছিল।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসা একটি ভিডিওতেও দেখা যায় একজন ব্যক্তি নিজেকে জঙ্গি বলে দাবি করছেন এবং মাট্টা সার্কেলের ডিএসপি পীর সৈয়দ এবং দুই নিরাপত্তা কর্মকর্তার সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন।
এরপরে পুলিশ একটি বিবৃতি দিয়ে জানায়, মাট্টা তহসিলের কানালা পাহাড়ে কিছু জঙ্গি অবস্থান নিয়েছে।
এরই প্রতিক্রিয়া হিসাবে সোয়াতের হাজার হাজার মানুষ জঙ্গি উপস্থিতির প্রতিবাদে সমাবেশ করে বলে মনে করছেন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।
তারা বলছেন সোয়াতের জনগণ, যারা বছরের পর বছর জঙ্গিবাদে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তারা কাউকে কষ্টার্জিত শান্তি নষ্ট করতে দেবে না।
শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের জনগণকে পুলিশের বিরুদ্ধে উস্কে দেবে বলেও সতর্ক করেন তারা। তবে সোয়াত জুড়ে এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
শনিবার পাকিস্তানের আইএসপিআর সোয়াতে জঙ্গিদের অবস্থানের খবরকে ভিত্তিহীন বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।
 তবে, জনবসতি থেকে অনেক দূরে অবস্থিত সোয়াত এবং দিরের কয়েকটি পাহাড়ের চূড়ায় কিছু সশস্ত্র লোকের উপস্থিতি দেখা গেছে বলে জানিয়েছে। আপাতদৃষ্টিতে, এরা আফগানিস্তান থেকে পুনর্বাসনের জন্য লুকিয়ে এসেছিল। পাহাড়ে তাদের উপস্থিতি এবং চলাচলের উপর নজর রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে আইএসপিআর। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.