‘শান্তিপূর্ণ পুনরেকত্রীকরণের’ প্রস্তাব চীনের, তাইওয়ানের প্রত্যাখ্যান

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আবারও চীনের সঙ্গে তাইওয়ানের ‘শান্তিপূর্ণ পুনরেকত্রীকরণের’ প্রস্তাব দিয়েছে বেইজিং। রোববার (৫ মার্চ) চীনের বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং এ প্রস্তাব উত্থাপন করেন। প্রয়োজনে তাইওয়ানের স্বাধীনতার বিরোধীতা করে দৃঢ় পদক্ষেপ নেয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি। চীনের এমন অবস্থানের জবাবে তাইপে তাইওয়ানের জনগণের গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা প্রতি যে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা রয়েছে তা সম্মান করার আহ্বান জানিয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
চীন বরাবরই তাইওয়ানকে নিজের ভূখণ্ড বলে দাবি করেছে। এমনকি প্রয়োজনে শক্তি খাটিয়ে হলেও তাইওয়ানকে চীনের সঙ্গে একীভূত করার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেয়নি। বিগত কয়েক বছরে তাইওয়ানের আশপাশে বিশেষ করে তাইওয়ান প্রাণালিতে সামরিক উপস্থিতি বাড়িয়েছে চীন। দেশটি দাবি করেছে, তারা এই অঞ্চলে তাইপে-ওয়াশিংটনের গোপন আঁতাত রুখতেই কর্মকাণ্ড বাড়িয়েছে।
গত বছরের আগস্টে তাইওয়ানে যুক্তরাষ্ট্রের হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের তৎকালীন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির সফরকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিয়েছিল। চীন তাইওয়ানকে ঘিরে এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে সামরিক মহড়া চালায়।
রোববার বেইজিংয়ের গ্রেট হলে দেশটির পার্লামেন্ট ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের ভাষণ দিতে গিয়ে লি কেকিয়াং বলেন, ‘বেইজিং এক চীন নীতিতে অটল। এর মানে হলো, তাইওয়ান চীনের অংশ।’ তবে লি কেকিয়াং কোনো ধরনের সামরিক অভিযানের হুমকি দেননি।
অধিবেশনে উপস্থিত প্রায় ৩ হাজার প্রতিনিধির সামনে লি কেকিয়াং বলেন, ‘তাইওয়ান সমস্যা সমাধানের জন্য এবং তাইওয়ানের স্বাধীনতার বিরোধিতা করার জন্য এবং পুনর্মিলনের বিষয়টি এগিয়ে নেয়ার জন্য দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণে সরকারের উচিৎ আমাদের দলীয় নীতি বাস্তবায়ন করা।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের আন্তঃপ্রণালি সম্পর্ক হওয়া উচিৎ শান্তিপূর্ণ এবং এই প্রক্রিয়াকে চীনের শান্তিপূর্ণ পুনরেকত্রীকরণের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।’
পৃথক এক মন্তব্যে চীনের প্রতিরক্ষা বিষয়ে লি কেকিয়াং বলেছেন, চীনের সশস্ত্রবাহিনীর উচিৎ ‍যুদ্ধ প্রস্তুতি বাড়ানো। তবে লি কেকিয়াং তাইওয়ানের প্রতি কোনো ধরনে সামরিক চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেননি।
চীনা প্রধানমন্ত্রীর কড়া প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে তাইপে। তাইওয়ানের চীন বিষয়ক ডেস্ক মেইনল্যান্ড অ্যাফেয়ার্স কাউন্সিল চীনা প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যের জবাবে বলেছে, চীনের দুই রাষ্ট্র সমাধান মেনে নেওয়া উচিৎ এবং দেশটির মনে রাখা প্রয়োজন যে, তাইওয়ান প্রণালিতে কোনো দেশই কারো অধীন নয়। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.