রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে জিতে শেষ চারে ডর্টমুন্ড

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ২ গোল শোধ করে ম্যাচ জমিয়ে তুলল আতলেতিকো মাদ্রিদ। কিন্তু চার মিনিটের মধ্যে দুটি গোল করে ফের ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিল বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। ঘুরে দাঁড়ানো জয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ চারে জায়গা করে নিল জার্মানির ক্লাবটি।
ঘরের মাঠে দ্বিতীয় লেগে ৪-২ গোলে জিতেছে ডর্টমুন্ড। ওয়ান্দা মেত্রোপলিতানোয় প্রথম লেগে ২-১ গোলে হেরেছিল তারা। দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৪ গোলের অগ্রগামিতায় পরের ধাপে পা রাখল বুন্ডেসলিগার দলটি।
স্বাগতিকদের হয়ে জোড়া গোল করেছেন মার্সেল সাবিৎজার, একটি করে ইয়ান মাটসেন ও নিকলাস ফুলক্রুগ। আতলেতিকোর একটি গোল করেন আনহেল কোররেয়া, অন্যটি আত্মঘাতী।
ইউরোপ সেরার মঞ্চে এ নিয়ে চতুর্থবার সেমি-ফাইনালে খেলবে ডর্টমুন্ড, ২০১৩ সালের পর প্রথমবার। ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে তাদের প্রতিপক্ষ ফরাসি চ্যাম্পিয়ন পিএসজি। এদিনই আরেক কোয়ার্টার-ফাইনালে বার্সেলোনাকে হারিয়েছে লুইস এনরিকের দল।
পাঁচ মিনিটের মধ্যে স্কোর লাইন হয়ে যেতে পারত ১-১!
তৃতীয় মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করে ডর্টমুন্ড। ছয় গজ দূরে বল পেলেও শট নিতে বেশি দেরি করেন সাবিৎজার। সেই সুযোগে ছুটে এসে দুর্দান্ত এক ব্লক করেন সেসার আসপিলিকুয়েতা।
দুই মিনিট পর আতলেতিকোকে হতাশায় ডুবান আলভারো মোরাতা। প্রতি আক্রমণে গোলরক্ষককে একা পেয়েছিলেন স্প্যানিশ স্ট্রাইকার। হাল ছেড়ে দিয়েছিলেন একটু পিছিয়ে পড়া সাবিৎজার। কিন্তু সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি মোরাতা। শট লক্ষ্যেই রাখতে পারেননি তিনি।
শুরু থেকে আতলেতিকোকে বেশ চাপে রাখা ডর্টমুন্ড এগিয়ে যায় ৩৪তম মিনিটে। মাটস হুমেলসের উঁচু করে বাড়ানো বল ডি বক্সে পেয়ে যান ইউলিয়ান ব্র্যান্ডট। সামনে বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় থাকলেও তাদের মাঝ দিয়েই জাল খুঁজে দেন জার্মান মিডফিল্ডার।
পাঁচ মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মাটসেন। সাবিৎজারের কাছ থেকে বল পেয়ে দূরের পোস্ট ঘেঁষে ঠিকানা খুঁজে নেন ডাচ ডিফেন্ডার।
দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় ডর্টমুন্ড।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ডর্টমুন্ডের আত্মঘাতী গোলে ঘুচে যায় ওই ব্যবধান। ৪৯তম মিনিটে কর্নার থেকে মারিও এরমোসোর হেড ঠেকাতে গিয়ে নিজেদের জালেই পাঠিয়ে দেন হুমেলস।
৫৪তম মিনিটে খুব কাছে থেকেও শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি কোররেয়া। ১০ মিনিট পর আর ব্যর্থ হননি তিনি। মোরাতার জায়গায় দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে বদলি নামা আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার সমতা ফেরান ম্যাচে।
একের পর এক আক্রমণে আতলেতিকোর রক্ষণের পরীক্ষা নেওয়া ডর্টমুন্ড ফের এগিয়ে যায় ৭১তম মিনিটে। চমৎকার হেডে ইয়ান ওবলাককে পরাস্ত করেন ফুলক্রুগ।
তিন মিনিট পরেই নিজের দ্বিতীয় গোলে স্কোর লাইন ৪-২ করে ফেলেন সাবিৎজার। ডি বক্সের মাথায় বল পেয়ে আড়াআড়ি শটে জালে খুঁজে নেন অস্ট্রিয়ান মিডফিল্ডার। কিছুই করার ছিল না গোলরক্ষকের।
গোল শোধের জন্য মরিয়া আতলেতিকো পাল্টা আক্রমণ থেকে পিছিয়ে যেতে বসেছিল আরও। ফুলক্রুগের প্রচেষ্টা ঠেকানোর পর সাবিৎজারের দূরপাল্লার শট ঠেকিয়ে দলকে লড়াইয়ে টিকিয়ে রাখেন ওবলাক। কিন্তু খুব প্রয়োজনীয় গোলের দেখা আর পায়নি আতলেতিকো। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.