বিশেষ প্রতিনিধি:আজ জাতীয় সমাজসেবা দিবস। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত সমাজ বিনির্মাণে, সেবা ও সুযোগ প্রান্তজনে’। এ উপলক্ষে রাজধানী’সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নানা কর্মসূচি পালন করেছে সমাজসেবা অধিদফতর। সারা দেশের ন্যায় নানা আয়োজনে রাজশাহীতে সমাজসেবা দিবস পালিত হয়েছে।
আজ শনিবার (০২ জানুয়ারী) ২০২১ ইং জেলা প্রশাসন ও জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের যৌথ আয়োজনে জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে সামনে বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে দিবসের উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধন শেষে জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রাজশাহী জেলা সমাজ কার্যালয়ের উপপরিচালক হাসিনা মমতাজ এর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল।
বিশেষ অতিথি ছিলেন, রাজশাহী বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক মনিরা খাতুন, মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সমাজসেবী শাহিন আকতার রেনী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ শরিফুল হক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) কামরুজ্জামান ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) নজরুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, রাজশাহী জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে সহকারী পরিচালক ড. আব্দুল্লা আল ফিরোজ, কার্যক্রম তুলে ধরেন সহকারী পরিচালক বায়েজিদ হোসেন ওয়ারেসি, বক্তব্য রাখেন শাপলা গ্রাম উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মহসিন আলী ও সমাজসেবা কার্যালয়ের উচ্চমান সহকারী আব্দুল আলিম। এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পর্যায়ের কমকর্তা-কর্মচারী, প্রতিবন্ধি ও হতদরিদ্র বক্তিবর্গ’সহ সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দরা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল বলেন, দেশ এগিয়ে চলছে। কোভিড-১৯ এর কারনে কিছুটা ছন্দপতন হলেও উন্নয়নের চাকা থেমে নেই। সমাজসেবা অধিদপ্তর পঞ্চাশটির মত কার্যক্রম পরিচালিত করে আসছে। এসডিজি এর প্রায় দশটি ধাপ নিয়েও সমাজসেবা কাজ করে। এছাড়াও বীরমুক্তিযোদ্ধাদের সকল প্রকার সহযোগিতায় সমাজসেবা অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে।
তিনি আরও বলেন, সরকার সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধি করেছেন কাজের সচ্ছতার জন্য। বিগত পাঁচ বছর ধরে সরকারী অফিস সমুহে কাজের জবাবদিহিতা, ন্যায্যতা ও সচ্ছতা অনেকটাই এসেছে বলে বক্তব্যে উল্লেখ করেন জেলা প্রশাসক। এই ধারা অব্যাহত রাখেতে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সচ্ছতার সাথে কাজ এবং জনগণকে সঠিকভাবে সেবা প্রদান করার পরামর্শ দেন তিনি। বক্তব্য শেষে ভিক্ষুক পুণর্বাসনের জন্য ভ্যান, নগদ অর্থ, প্রতিবন্ধি ব্যক্তিদের মধ্যে হুইল চেয়ার, দরিদ্র ও অসহায়দের মধ্যে কম্বল’সহ মাস্ক বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.