রাজশাহীতে নারী ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রতারণা ও চেক জালিয়াতির অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক: বেসিক ব্যাংক রাজশাহী আমচত্বর শাখার একজন কর্মকর্তা (ক্যাশ অফিসার) ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ, প্রতারণা ও ব্যাংকের চেক বই জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে।
ঐ ব্যাংক কর্মকর্তা ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে প্রায় ৭০ লাখ টাকা প্রতারণার অভিযোগ তুলে শনিবার (৪ মার্চ) নগরীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী নারী মায়া বেগম।
ভুক্তভোগী ঐ নারীর বাসা নগরীর বালিয়া পুকুর এলাকায়। আর অভিযুক্ত ব্যাংক কর্মকর্তা তাসনুভা ফেরদৌস ও তার স্বামী গোলাম জাকির তারা নগরীর রাজপাড়া থানাধীন দাশপুকুর এলাকায় বসবাস করেন।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ মায়া বেগম লিখিত এক বক্তব্যে বলেন, অভিযুক্ত ব্যাংক কর্মকর্তা তাসনুভার সাথে তার পরিচয় হয় বেশ কয়েক বছর আগে।
অভিযুক্ত স্বামী-স্ত্রী মায়া বেগমের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলেন। এবং পরবর্তী সময়ে মায়া বেগমকে তারা ধর্ম মা হিসেবে সবার কাছে প্রচার করতে থাকেন। সম্পর্ক গভীর হবার এক পর্যায়ে তাসনুভা ও তার স্বামী জাকির বিভিন্ন সময় নানা টালবাহানায় মোটা অংকের অর্থ ঋণ হিসেবে গ্রহণ করেন।
ব্যাংকে নেওয়া হাউজ ব্লিডিং লোনের কিস্তি পরিশোধসহ অন্যান্য দেনা পাওনা ও প্রয়োজন কথা বলেও মায়া বেগমের কাছ থেকে ক্রমান্বয়ে নানা কৌশলে তারা টাকা নিতে থাকেন। আজ দেবো কাল দেবো বলে দীর্ঘ সময় ক্সেপন করার প্রেক্ষিতে মায়া বেগমের সন্দেহ হয় তাদের উপর। তাই মায়া বেগম গত বছর ৬ অক্টোবর একশ টাকার তিনটি ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে একটি কর্জনামা সম্পাদন করেন।
ধার করা অর্থ ফেরত দেবার নামে তাসনুভা ও তার স্বামী জাকির মায়া বেগমকে আশ্বস্ত করার নিমিত্তে বলেন, আমাদের বাড়িটা বিক্রি করে দিয়ে আপনার সমস্ত টাকা ফেরত দিয়ে দেবো। তার কয়েক মাস পরে মায়া বেগম অভিযুক্ত তাসনুভার বাড়িটি দশ লাখ টাকা নগদ দিয়ে লক্ষীপুর মৌজার ৭ নং আরএস খতিয়ানের ৪৬২/৯-১/২০২১-২০২২ তারিখে খারিজ কেসের আদেশ বলে প্রস্তাাবদ ৭০৭৩ খতিয়ানের .০৩১৬ একর সম্পত্তি তিনশ টাকার স্ট্যাম্পে পাওনাদার মায়া বেগমের কাছে বায়নানামা করে দেন।
বায়না নামার মেয়াদ শেষ হবার পর মায়া বেগম সম্পত্তি রেজিষ্ট্রি করার কথা বললে তারা স্বামী-স্ত্রী নানা টালবাহানা শুরু করেন। অবশেষে গত (২৭ ফেব্রুয়ারি) অভিযুক্ত দম্পত্তি মায়া বেগমকে নগরীর বিলসিমলা এলাকায় ডেকে নিয়ে ভাড়াটে গুন্ডাবাহিনী দিয়ে নানারকম ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন।
এরই মধ্যে ক্ষতিগ্রস্থ ও ভুক্তভোগি ঐ নারি বেসিক ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে তাসনুভার বিরুদ্ধে প্রতারণা ও চেক জালিয়াতির অভিযোগ এনে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর একটি অভিযোগপত্র রেজিষ্ট্রি ডাকযোগে প্রেরণ করেন।
মায়া বেগম উক্ত সংবাদ সম্মেলনে আরো অভিযোগ করেন, অভিযুক্ত তাসনুভা ফেরদৌস মায়া বেগমের স্বাক্ষর নকল করে নওদাপাড়া আমচত্বর বেসিক ব্যাংক শাখা থেকে একটি চেক বই নিজের হস্তগত করেন।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নিজস্ব প্রতিনিধি ইফতেখার আলম (বিশাল) / রাজশাহী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.